devil love part: 23

0
3802

devil love part: 23
writer-kabbo mahmud

কাব্যঃ (মোবাইল হাতে নিয়ে দ্রুত আবিরকে ফোন দেই)
কিছুক্ষপর
কাব্যঃ হ্যালো আবির?
আবিরঃ হুম বল(ঘুম ঘুম গলাই)
কাব্যঃ যা বলব সব ঠিকমত করবি? আর এখনিই ওকে
আবিরঃ ওকে বল
কাব্যঃ শোন এখন সোজা যেয়ে গাড়িতে বসবি হ্যা তার আগে এদকম চোখ মুখ ঢেকে একটু স্টাইল থাকবে তারপর গাড়ি নিয়ে যেভাবে হোক মার্কেট থেকে চকলেট নিবি তারপর তানিশাদের বাসাই আসবি কিসের জন্য আসবি নিশ্চয় জানিস না এখানে ওই writer kabbo হিসেবে আসবি আমি আমি তো তোকে এসব কথা বলেছি তাই আশা করি এখানে এসে কেমন অভিনয় করতে হবে তুই জানিস??

আবিরঃ হুম ওকে চিন্তা করিস নাহ(ঘুমের গলাই মনে হচ্ছে কোন খেয়াল নেই)

কাব্যঃ ok bye,,,
–কাব্য দ্রুত ড্রাইভ করে market এ যেয়ে দেখে সব বন্ধ করে দিচ্ছে প্রায় সেখান থেকে অনেক রকম চকলেট নিয়ে আবার গাড়িতে উঠে
আর এদিকে
–আবির ফোন কানে ধরেই ঘুমিয়ে যাবে ঠিকিই কিন্ত সাথে সাথে আবার উঠে পরে

আবিরঃ এতো রাতে কাব্য আমাই ফোন দিয়েছিলো??(অবাক হয়ে) তারমানে এটা সপ্ন নয় ও বাসার বাইরে? ভাগ আবির ভাগ এক্ষনিই রেডি হয়ে নে নাহলে তোর রক্ষা নেই
–কাব্য যেভাবে বল্ল সেভাবে রেডি হয়ে গাড়িতে যেয়ে বসল
আবিরঃ এবার কী করতে হবে???(মাথাই হাত দিয়ে) ধুর মনে পড়ে না ফোন লাগাই!!

কাব্যঃ (আবির এর ফোন রিসিভ করে) আবার কী হলো??

আবিরঃ দোস্ত সব ভুলে গেছি আবার বল

কাব্যঃ তোর দ্বারা কোন কাজ possible না শোন তাহলে……………………..
…………….এমন টা করবি ওকে

আবিরঃ ওকে চিন্তা করিস না মাত্র ৫মিনিট

কাব্যঃ হুম আমার ১০মিনিট লাগল আর তোর ৫মিনিট

আবিরঃ ha ha ha sorry sorry

কাব্যঃ ok come fast(দ্রুত ড্রাইভ করে সোজা তানিশাদের বাসাই)
এখন এই দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠতে হবে???জীবনে যা করিনি আজ সেটা এই মেয়ে আমাকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে ছাড়ব না তোমাই(দাতে দাত চেপে)

অতএব,

রাত ১২টা আর তানিশার রুমের জানালার কাছে কাব্য যেয়ে ধীরে ধীরে বলছে

কাব্যঃ তানিশা (বারান্দার কাছে যেয়ে দরজায় ধাক্কা দেই) তানিশার দরজা খুলো””””

তানিশাঃ (বিছানায় বসে ভাবনাই মগ্ন)

কাব্যঃ দরজা খুলো!!

তানিশাঃ এতো রাতে আবার কে এলো??(ভাবনার ঘোর থেকে বের হয়ে) কাব্য????যেয়ে দেখি

–দরজা খুলার সাথে সাথে কাব্য তানিশাকে সরিয়ে দিয়ে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে)

তানিশাঃ একি আপনি এতো রাতে??
কাব্যঃ কেন?. তুমিই তো বললে?? কেন ভুল করে ফেললাম? আচ্ছা চলে যাচ্ছি sorry
তানিশাঃ না মানে হ্যা তা নয় ইয়ে
কাব্যঃ থাক আর বলতে হবে না আমি যাই
তানিশঃ আরে আরে এসেছেন যখন বসুন একটু কথা বলি!!

কাব্যঃ ওকে ওকে (তানিশার বিছানাই যেয়ে বসে)

তানিশাঃ কই যেটা আনতে বলেছিলাম দিন (হাত পেতে)

কাব্যঃ এতো রাতে কোন দোকান খুলা নেই তাই নিয়ে আসা হয়নি

তানিশাঃ কী??????

কাব্যঃ আস্তে আস্তে সবাই শুনে ফেলবে তো sorry sorry পেছনের কোর্ট এর ভিতরে থেকে একটা গিফট এর বক্স বের করে
::::নাও

তানিশাঃ এটা কার গিফট???

কাব্যঃ খুলে দেখই না

–তানিশা বক্সটি তাড়াতাড়ি খুলে দেখে সেটার ভিতরে অনেক রকম চকলেট

তানিশাঃ অ………..হহহহহহহ(দুই গালে হাত দিয়ে) এতো চকলেট?? সব আমার??

কাব্যঃ হুম
তানিশাঃ thank you বলেন!!
কাব্যঃwhat??
তানিশাঃ হুম বলেন এতো পরিশ্রম করিয়ে নিলাম আপনাকে এতে আপনার ব্যায়াম হলো তাই আমি উপকার করলাম তাইনা?? ধন্যবাদ বলুন

–এই মূহুর্তে কাব্যর ইচ্ছা করছে তানিশাকে একটা কষে থাপ্পড় মারতে একে তো এতো রাতে ঠান্ডাই তাকে বাইরে নিয়ে এসেছে তাও আবার চুরি করে

কাব্যঃ sorry (কাব্য জানে এই মেয়ের সাথে আর যাই হোক কথাতে পারা যাবে না)

তানিশাঃ হুম welcome (চকলেট বের করে খেতে খেকায়ামতে)

আর এদিকে কাব্যর কথা অনুযায়ী আবির সব কিছু করে এখন তানিশার রুম সোজা নিচে চোখ মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে

আবিরঃ উফফ্, জীবনে তো কোন মেয়েকে পটাতে পারলামই না আর আজ আবার অন্যের বউ এর জন্য পরিশ্রম করতে হচ্ছে

–দেওয়াল দিয়ে উপরে উঠে

আবিরঃ ওহ বাবা গো এতো ঠাণ্ডা বাইরে

কাব্যঃ (আবির এর কথা শুনে) কে কথা বল্ল ওইখানে???

তানিশাঃ ১মিনিট আমি দেখে আসি
(দরজা খুলে দেখে আবির মানে তানিশার কাছে কাব্য দাঁড়িয়ে আছে)
আপনি চলে এসেছেন?? আসুন ভিতরে আসুন!!

–রুমের ভিতরে প্রবেশ করে

আবিরঃ (কাব্যকে দেখেও না চেনার ভান করে) উনি কে তানিশা?
তানিশাঃ পরিচিত হয়ে নিন উনি আমার বয়ফ্রেন্ড
আবিরঃ মানে??
তানিশাঃ মানে ওর সাথে আমার অনেক ঝামেলা থাকাই আমি হুট করে এসব করে ফেলি আর ইনগেইজ ও করে ফেলি এখন কী করব বলুন আজ ও যেভাবে আমার কাছে ক্ষমা চাইলো যে আমি আর কিছু করতে পারলাম না প্লিজ ভাইয়া আপনিই কিছু করুন!!!

–কাব্য আর আবির দুজনেই শক্ আর কাব্য তো ভাবতেও পারে নি যে তানিশা এমন একটা কথা সে বলবে কাব্য এখন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসে আছে।

তানিশাঃ কাব্য অবাক হওয়ার কিছু নেই আর ভাইয়া আপনি রুমাল খুলুন মুখ ঢেকে কী হবে??

আবিরঃ হুম হবু স্বামী থেকে এখন ভাইয়া:::: কী আর করার (রুমাল খুলে দিয়ে)

–কাব্য এবারও অবাক হয় আবির কে দেখে কারণ কাব্য যেভাবে তাকে সাজতে বলেছে আবির তার উলটো করেছে

তানিশাঃ এবার শুনুন আমি কিছু কথা বলব
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
জীবনে কাউকে আপন করে পেতে হলে অনেক আপনজনকে হারাতে হয়। আমিও এমন একটি কাজ করতে চলেছিলাম এই বিয়ে হলে আমি অনেক আপন একজন নয় অনেক জনকে হারিয়ে ফেলতাম তাই আমি এটা করতে পারব না।এমন ভুল করতে চলেছিলাম যার আর শেষ নেই
তাই আমি একটি ডিসিশন নিয়েছি

আবিরঃ কী?????

তানিশাঃ কাব্য(আবির). আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না। কারণ বিয়েটা খেলা নয় সারাজীবন এর ব্যাপার আর এখন একে-উপরের ব্যাপারে না জেনে বুঝে বিয়ে হয় না, আর আমরা তো এখনও আমাদের পছন্দ-অপছন্দ বিষয়ে কিছু জানিনা কারণ আজ আমাদের প্রথম দেখা হলো আর আমার কেমন জেনো এখন আপনার প্রতি আর আগের অনুভূতিটি নেই। আপনি দেখতে তো অনেক সুন্দর, অনেক মেয়েই আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হবে তাই নিজে একজনকে পছন্দ করুন তার সাথে আনন্দ করুন সকল কিছু বুঝে নিন তারপর বিয়ে করুন দেখবেন সুখী হবেন।
আর আপনি আমার বিষয়ে কিছু না জেনে বুঝে বিয়ে করতে চাইছিলেন আপনি আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন না তাই আমি এই কাব্যকে বিয়ে করব কারণ আমাদের ভিতরে সকম রিলেশন আছে সব আমরা জানি-বুঝি
আর কিছু আমার বলার নেই

–কাব্য তো তানিশার কথা গুলো অবাক হয়ে শুনছে★

আবিরঃ হুম তোমার কথা গুলো ঠিক আমি এসব আগে ভেবেছিলাম না আসলে বাবা-মা বিয়ের জন্য চাপ দেওয়াতে আমি তোমাকেই ঠিক করে ফেলি তোমার এই চঞ্চলতা দেখে বুঝেছিলাম তুমি আমাই পছন্দ করো
আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোমার এই কথাগুলো কাজে লাগিয়ে জীবনে কিছু করার চেষ্টা করব।
কিন্ত আগামীকাল কী করব???

তানিশাঃ হুম এবার সেটার বিষয়ে কথা বলার দরকার
যা করার এখনই সব plan করে ফেলতে হবে
আর হ্যা এখানে আপনার নাম ও কাব্য উনার নাম।ও কাব্য তাই যদি আপনার অন্য কোন নাম বলতেন তাহলে ডাকতে সুবিধা হতো

আবিরঃ আমার অন্য নাম নেই

তানিশাঃ ooh

আবিরঃ আচ্ছা আমার বিয়ে বন্ধ তাহলে আমার বাবা-মা কী করবে??

তানিশাঃ তাহলে…..
…….

আবিরঃ আমি বলি??
তানিশাঃ হ্যা বলুন
আবিরঃ প্রথমত বিয়েতে সব ঠিক থাকবে কাব্য আমার বন্ধু হিসেবে আমার পাশে বসে থাকবে আর কাজী সাহেব ও আমরা সাজিয়ে নিয়ে আসব বিয়ে পড়াবে কাব্যর নামে আর আমি পাশে বসে থাকব বরের মতো
তারপর নাহয় সবাইকে বলব আমি বিয়ে করি নি

কেমন???

তানিশাঃ একদম ঘাটিয়া বুদ্ধু হ্যাবলাকান্ত্য এই বুদ্ধি নিয়ে চলেন??

আবিরঃ আচ্ছা তাহলে আপনি বলুন:::

তানিশাঃ আপনার বাবা-মা কে বুঝিয়ে বলবেন আমার এক বন্ধু তাকে তার জানের থেকেও ভালবাসে তাই আমি এই বিয়ে করতে পারব না তারপর আপনি মানে বরপক্ষ বিয়েতে আসবেন না তারপর আমার বাবা-মা আর কোন পথ না পেয়ে কাব্যর সাথে বিয়ে দিয়ে দেবে যেমনটা গল্পে হয়

আবিরঃ বাহ্ আপনি তো গল্পকে বাস্তব করে দিচ্ছেন
তানিশাঃ হুম পরিস্থিতি সময়ে ওইরকম হয়ে যাই

আবিরঃ অনেক রাত হয়েছে আর কাল সকাল থেকেই তো আপনার ব্যস্ততা শুরু আর চকলেট থাকল নিয়ে আসলাম আর হ্যা শুভ কামনা রইলো সুখী হোন ভালো থাকুন বিয়ের দিন তো আসতে পারব না তাই এখনিই বলে গেলাম আচ্ছা আসি??

তানিশাঃ হুম আপনাকে আমার কৃতজ্ঞ জানানো ছাড়া আর কিছু নেই আমি সত্যই আপনার কাছে(কথা বন্ধ করে দিয়ে)

আবিরঃ একটা জিনস করে দিতে পারেন
তানিশাঃ কী???
আবিরঃ বলছি আমার লাইনটাও একটু খুজে দিলে ভালো হতো আর কি????(হাসি দিয়ে)
তানিশাঃ আচ্ছা চেষ্টা করব
আবিরঃ আসি bye
তানিশাঃ আচ্ছা

-আবির দেওয়াল দিয়ে নেমে চলে গেল আর কাব্য অবাক চোখে তানিশার দিকে তাকিয়ে আছে

তানিশাঃ আপনার আবার কী হলো??
কাব্যঃ না কিছু না তোমাকে দেখে অনেক অবাক হচ্ছি
তানিশাঃ অবাক হয়ে লাভ নেই যান বাসাই যান কাল আমার বিয়েতে আসবেন যানতো ঘুম আসছে কত রাত হয়ে গেলো কাল অনেক কাজ
কাব্যঃ হুম কাল আমারও অনেক কাজ আচ্ছা আসি:::::
তানিশাঃ হুম good night
কাব্যঃ হুম আর happy valentines day
তানিশাঃ মনে আছে?????(অবাক হয়ে)
কাব্যঃ হুম
তানিশাঃ তাহলে আমার ফুল কই??
কাব্যঃ বলেই ভুল করলাম(মনে মনে) wait (বারান্দায় যেয়ে একটি ফুল ছিড়ে নিয়ে আসে তারপর হাটু গেড়ে)
এই দিনটি আমার জন্য কেমন জানিনা তবে সামনের দিন গুলোতে তোমার জন্য আমি অনেক কিছু রেখেছি I love you
তানিশাঃ I love you tooo(ফিসফিস করে)

তানিশাঃ আচ্ছা যান অনেক হয়েছে

কাব্যঃ থেকে যাই না???(মুচকি হাসি দিয়ে)
তানিশাঃ এই না না জলদি নিচে নামেন। তো
কাব্যঃ হুম আবার এই নিচে নামা আচ্ছা ঘুমাও তুমি আমি আসি

–কাব্য তানিশার কাছে থেকে বিদাই নিয়ে বাসায় চলে গেল আর তানিশা গভীর ঘুমে মগ্ন

চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে