devil love married life part : 3

0
4891

devil love married life part : 3
writer-kabbo mahmud

দিন থেকে সন্ধ্যা হয়ে গেলো তবুও কাব্যর বাসাই ফেরার কোন নাম গন্ধ নেই। তানিশা ও তার শশুর শাশুড়ি সবাই মিলে আনন্দের আড্ডাই মেতে আছে।মাঝে মাঝে তানিশা চিন্তা করছে আবার আড্ডাই মন দিছে।

তানিশাঃ নাহ্ এমন করছে কেন উনি? কিছু ভালো লাগছেনা।(মনে মনে) মা উনি এখনো আসছেন না কেন?

আবিরঃ হুম আমিও ভাবছি কাব্য এমন তো করেনা যা বলে সেটাই করে কিন্ত আজ যেটা বল্ল!!!

মাঃ একটু ফোন দিয়ে দেখইনা কোন কাজে ব্যাস্ত আছে মনে হয় কাজ পেলে তো আবার শেষ না করে ছাড়েনা

তানিশাঃ নাম্বর তো আমার কাছে নেই

আবিরঃ আমি দিচ্ছি ?????
মোবাইল বন্ধ বলছে

নীলাঃ ভাইয়ার মোবাইল বন্ধ???? এটা কীভাবে সম্ভব? ভাইয়ার ফোন এক মুহুর্তের জন্য বন্ধ থাকে না।

বাবাঃ আসলেই তো। আবির তুমি নাহয় যাও অফিসে কোন সমস্যা হলো নাকি? আমাদের বল্লও না।

মাঃ হুম এবার তো টেনশন আমারও বেড়ে গেলো। আবির যাও তুমি।

আবিরঃ হুম চিন্তা করোনা কিছু হবেনা হয়তো ব্যাস্ত থাকাই মোবাইল চার্জ দিয়েছিল না। আমি আসি।

–বসা থেকে উঠে দাঁড়াবে তখনই তাদের ড্রাইভার দৌড়াতে দৌঁড়াতে সবার সামনে এসে দাঁড়াল। এমন কাজ দেখে সবাই উঠে দাঁড়াই।

বাবাঃ কী ব্যাপার মিস্টার ইয়াদুল এতো চিন্তিত কেন?

ড্রাইভারঃ sir, কাব্য বাবার মাঝ রাস্তাই গাড়ী খারাপ হয়ে যাই। তাই আমাকে অন্য একটা গাড়ী নিয়ে যেতে বলে আমি ওখানে যাই গিয়ে দেখি কাব্য বাবা নেই উনার গাড়ীর পাশে এই রুমাল আর উনার ফোনটি ছিল।

আবিরঃ(রুমালটি হাতে নিয়ে) এটা তো কাব্যর রুমাল না। তাহলে!!!!
-আবির রুমালটির সুগন্ধ নিতে যাওয়াতে মাথাই চক্কর দিয়ে পড়ে যেতে যাই।
বাবাঃ সাবধানে* কী এটা?
আবিরঃ বাবা কাব্যকে senses করা হয়েছে এট দিয়ে।
-আবিরের কথা শুনে সবাই থমকে যাই। তানিশার চোখ দিয়ে দুই ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে তারপর দাঁড়ানো থেকে বসে পড়ে। নীলা তানিশার কাছে যেয়ে তাকে জোড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই।

মাঃ আমার ছেলে কার কী ক্ষতি করেছে যে তার সাথে এমন হলো??
আবিরঃ চিন্তা করবেন না মা ওর এতোদিন কেউ ক্ষতি করতে পারেনি এখনো পারবে না।
বাবাঃ পারেনি মানে!! কে ক্ষতি করতে চাইতো ওর?
আবিরঃ না তেমন কিছু না আচ্ছা তোমরা চিন্তা করোনা আমি আজ রাতেই কাব্যকে নিয়ে বাসাই ফিরছি
মাঃহুম যাও বাবা দরকার হয় পুলিশকে জানাও
আবিরঃ বললাম তো মা আজ রাতে মানে কী? ৩ঘন্টার মধ্যেই কাব্য চলে আসবে। চাচা আপনি কোন জাইগাতে গিয়েছিলেন?
ড্রাইভারঃ*********
আবির ড্রাইভার এর কথা শুনার পর সেখানে থেকে চলে যাই তারপর গাড়িতে বসে ড্রাইভিং করছে আর ভাবছে।
আবিরঃ হুম আমি এটুকু তোমাদের থেকে লুকিয়েছি বাবা কলেজ বা ভার্সিটি কাব্য সব জাইগাতেই এক এতোটা রাগী আর বদমেজাজি ছিলো খারাপ কাজ কে পছন্দ করত না কেউ কিছু করলেই action শুরু কিন্ত একটা জিনিস বুঝে পাইনি তোমাদের সামনে ও আসলেই বাচ্চাদের মতো হয়ে যাই। এখনো ও এমন করে।
–ড্রাইভার যেখানে বলেছিলো আবির সেখানেই তার গাড়িটি নিয়ে বসে থাকল

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
রাস্তার পাশেই একটা গলি কিছুদূর পর একটা ছোট বাড়ি তার ভিতরে অনেক লোক সব gangster এর মতো। ঘরের মধ্যে দুটি চেয়ার একটাতে এক অচেনা একজন বসে আর অন্যটিতে কাব্য অজ্ঞান অবস্থাতে হাত-পা বেধে রেখেছে।

লোকটিঃ এই ও অনেক ঘুমিয়েছে এবার একটু জাগিয়ে দে* ওর মুখে পানি ছুড়ে মার

একজন এসে এক বালতি পানি কাব্যর দিকে ছুড়ে মারাতে পুরো দেহ ভিজে যাই । কিছুক্ষণ পর কাব্যর জ্ঞান ফিরে আসে। চোখমেলে তাকাতে হালকা ঝাপসা দেখে তারপর মাথা তুলে ঝাকি মারাতে সব স্পষ্ট দেখতে পাই এবং যা ঘটেছিলো মনে করে।

কাব্যঃ নয়ন তুই???(অবাক হয়ে)
নয়নঃ(জোরে হাসি দিয়ে) চিনতে পেরেছিস তাহলে???
কাব্যঃ হ্যা পেরেছি। তারমানে এসব তুই করেছিস?
নয়নঃ হ্যা রে পুরো গেমটাই আমার।
কাব্যঃ গেমটা না খেল্লেই তোর জন্য ভালো হতো।
নয়নঃ হুম পরামর্শ দিয়ে নে (কাব্যর কাছে পেছনে যেয়ে চুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে পেছনের দিকে টেনে ধরে) এখান থেকে তো আর বের হতে পারবিনা এখানেই থাক। আর আমি তোর ফ্যামিলির সবাইকে ক্ষতি করব না কারণ তাদের সাথে আমার কোন কথা নেই কথা তো তোর বোনের সাথে।(কাব্যকে ছেড়ে দিয়ে পেছনে ঘুরে তাকাই) শুনলাম নাকি নতুন বিয়ে করেছিস? বউটা নাকি হেব্বি? ও কে আমার দরকার নেই দরকার তো তোর বোনকে খুব বেড়ে গিয়েছে তোর বোন সালার প্রেমটা হয়েই যেতো রে মাঝখানে তুই কেন আসলি? এখন জোর করে পেতে হবে। তোর বোনকে তো আমার চাই বউ হিসেবে না পেলেও একটু চাই ”””’না না অনেক চাই। সমস্যা নেই আমি যা করব সব এসে তোকে বলব কারণ তুই তো…….

কাব্যঃ কিছু করতে পারব না তাইতো???( শরীর থেকে ভেজা শার্ট টি খুলে ফেলে দিয়ে)
নয়নঃ এটা কীভাবে করলি??
কাব্যঃ এসব ছোট-খাটো চেয়ারে অন্য কাউকে বসিয়ে রাখিস আমাই না তুই হয়তো ভুলে গেছিস ভার্সিটি লাইফে মারামারি তে চেয়ার ভাঙাতে আমি প্রথম ছিলাম।
*কাব্য নয়ন এর কথাই এতো পরিমাণ রেগে যাই যে চেয়ার ভেঙে ফেলে কিন্ত নয়ন বুঝতে পারেনি।
নয়নঃ ওহ তাই আচ্ছা ঠিক আছে(চেয়ারে বসে)
কাব্যঃ হুম তাহলে???(রাগে পুরো শরীর কাঁপছে)
নয়নঃ ওই তোরা দাঁড়িয়ে কী দেখছিস? মার একে
*একজন এসে কাব্যকে মোটা রড দিয়ে মারতে যাবে কাব্য তার হাত মুষ্টিবদ্ধ করে লোকটির বুকে খুব জোরে আঘাত করে লোকটার হাতে থেকে রড টি পড়ে যাই এবং সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে। সবাই অবাক হয়ে কাব্যর দিকে তাকিয়ে। চোখ তার পুরো লাল বর্ণেরর হয়ে গেছে।
কাব্যঃ এটা দেখবি তাইনা??(নয়ন কে উদ্দেশ্য করে)
–তারপর লোকটিকে ওভাবেই হাতের উপরে তুলে নিচের দিকে ছুড়ে মারে। লোকটা সেখানেই মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে সুয়ে পড়ে।
কাব্যঃ কে কে আসবি আই তোদের সবাইকেই আজ পিটিয়ে হাতের সুড়সুড়ি মিটিয়ে নিই।
–কাব্যর কথা শুনে সবাই ভয় পেয়ে যাই কথা ততো একটা ফ্যাক্ট না ঘটনা হলো কাব্যর বডির দিকেই তাকিয়ে আছে সবাই যেখানে কারোর এরকম বডি নেই। জিম করা সিক্সপ্যাক বডি একদম ফিট শরীর।
নয়নঃ হা করে কী দেখিস সবাই মিলে মার তাহলে ও পারবে না।
*কেউ ভয়ে এগোচ্ছেনা একটু পর একজন চাকু দিয়ে কাব্যর দিকে এগিয়ে আসে তারপর কাব্যর কাধ বরাবর আঘাত করতে যাবে তখনই কাব্য তার হাতটি ধরে ফেলে দুমড়ে দেই লোকটি চিল্লিয়ে উঠে।
কাব্যঃ তুরা কি করতে আমার কাছে মরতে আসছি? বাচতে চাইলে আসিস না।
**তারপর লোকটির পায়ে মেরে হাটুগেড়ে বসিয়ে দেই
কাব্যঃ অনেক দিন পর তাইনা নয়ন? কী বুঝেছিলিস? মন পাল্টেছে ক্যারেকটার না
-পা দিয়ে এতো জোরে লাথি মারে যে লোকটি দেওয়াল এর সাথের টেবিলে ধাক্কা খেয়ে টেবিলটি ভেঙে দেওয়াল এ ধাক্কা খাই তারপর সেখানেই চুপ।
-সবাই অবাক হয়ে কাব্যর দিকে তাকিয়ে

একজনঃ স্যার মারামারি করতে পারব কিন্ত তাই বলে নিজের জীবনটা এভাবে দিতে পারব না এমন মারামারি করার দরকার নেই আমরা চললাম/ এই সবাই বাচতে চাইলে চল
(নয়ন কে উদ্দেশ্য করে বল্ল আর নয়ন বেচারা ভয়ে কিছু বলতেও পারছে না)
কাব্যঃ কিরে? এমন লোককে নিয়ে থাকিস? হাহ::::::::: এই তোরা সবাই থাম।

*সবাই দাঁড়িয়ে গেলো

কাব্যঃ আমাকে মারার জন্য কতো টাকা তোদের দিয়েছিল?
লোকটিঃ স্যার একলক্ষ্য
কাব্যঃ (পকেট থেকে একটা চেক বের করে সাইন করে দেই তারপর লোকটির হাতে দিয়ে)
এই চেক এই ঠিকানাই দিবি তোকে পাচ লক্ষ্য টাকা দিবে সবাই মিলে নিস

লোকটিঃ কিন্ত স্যার?
কাব্যঃ ভাবিস না শুধু শুধু দিছি। পেছনে যে আছে তার হাত-পা ভেঙে হসপিটাল এ দিয়ে আসবি। আমি ও কে মারতে পারব না।
-কাব্য সেখানে থেকে বেরিয়ে চলে আসল আর লোকগুলো নয়নকে চেপে ধরে(বাকিটে ইতিহাস)
-গলি থেকে বেরিয়ে যেখানে কাব্যর গাড়ি ছিলো সেখানে যেয়ে আবিরের গাড়ীতে বসে পড়ে।

আবিরঃ কাজ শেষ?
কাব্যঃ yeah
আবিরঃ (গাড়ি চালু করে) কে করেছিল এসব? আর কেন?
কাব্যঃ ওসব অনেক কাহিনি পরে বলব এখন ভালো লাগছেনা চল বাসাই চল সবাই টেনশন করছে
আবিরঃ হুম যাচ্ছি তো। আর্মির ট্রেনিং নিয়ে বডি যা করেছিস মেয়েরা দেখলে মনে হয় সবার সামনে তোকে কিডন্যাপ করবে।
কাব্যঃ বেশি কথা বলিসনা তো

আবিরঃ ????

*কিছুক্ষন পর তারা বাসার সামনে চলে আসল*

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে