sanam teri kasam part 2

0
3513

@@ sanam teri kasam@@
.
পর্ব : (২)
.
লেখক: Abdullah Al Ador mamun (কাল্পনিক লেখক)

.
–আমার মতে ছেলেটির এখন ফালিয়ে যাওয়া উচিৎ।(নূরী)
.
–ঠিক বলছিস তো, পরে আবার যদি মত বদলাস তাহল তোর খবর আছে।(আমি)
.
–আরে বাবা আমি হলেও ঠিক এমনটাই করতাম।আচ্ছা এটা বল ছেলেটি কে।(নূরী)
.
–আমার পরিচিত একজন। আমি তাহলে ওকে বলি ফালিয়ে যেতে কি বলিস।(আমি)
.
–হুম তাড়াতাড়ি বল ও যেনো ফালিয়ে যায়।(নূরী)
.
–তুই এখানে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছিস কেনো যা ফট এখান থেকে।(আমি)
.
— এত ভালো একটা উপায় বলে দিলাম কোথায় একটু বসতে বলবি তা না করে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিচ্ছিস।(নূরী)
.
–তোরে কোলে নিয়ে নাচবো নাকি যা ফট।(আমি)
.
–এ্যয়য়য়য়য়…(নূরী)
.
–এই কাঁদবি না যা সামনে থেকে যা বলছি।(আমি)
.
–তোরে আর কোনদিনও কোন উপকার করবো না।(নূরী)
.
–তোর উপকারের গুষ্টি কিলাই যা তো।(আমি)
.
যাক অবশেষে শান্তি।বুদ্ধি আছে বলতে হবে। না হলে কি করে নূরীর বাইচ্ছা কে বোকা বানিয়ে ওর থেকে নিজের পালানোর উপায় বের করে নিলাম।
ভাবছি আজকে রাতে পালাবো কিন্তু না সেটা করবো না আরো কিছুদিন যাক তারপর পালাবো।
.
–ওরে কোন জানোয়ার এত ঠান্ডার মধ্যে গায়ে পানি দিয়ে দিলি।(আমি)
.
–আমি পানি ডালছি তোর গায়ে।(নূরী)
.
–এই কোন সমাজের মেয়েরে তুই। তুই জানিস না শীত কালে পানি মারামারি নিয়ে কত ঝগড়া হয়।(আমি)
.
–তুই জ্ঞান দিতে আসিস না।(নূরী)
.
–এই তুই জ্ঞানের দেখছিস কি।তুই পানি মারলি কেনো আমারে।(আমি)
.
–তুই ঘুমের ঘোরে ফুল কলি ফুল কলি করছিস কেনো।(নূরী)
.
–ফুল কলি ফুল কলি করবো না তো কি নূরী নূরী করবো নাকি।(আমি)
.
–সেটা করলে তো অন্য কিছু দিতাম পানি দিতাম না।(নূরী)
.
— জানোয়ার সর সামনে থেকে। তোর অন্য কিছুর আমার দরকার নাই।(আমি)
.
–ফুল কলিটা কে?(নূরী)
.
–গার্লফ্রেন্ড। (আমি)
.
–ফুল কলি নাকি শুধু কলি।(নূরী)
.
–শুধু কলি।ফুল কলি ডাকি কারন ও ফুলের মতো পবিএ। (আমি)
.
–ওহহহহহ,আচ্ছা। ফ্রেশ হয়ে আয় নাস্তা দিচ্ছি।(নূরী)
.
–আচ্ছা যা আসছি।(আমি)
.
যাক এবার শান্তিতে থাকা যাবে।গার্লফ্রেন্ড আছে শুনে নিশ্চই আর বিরক্ত করবে না সাথে বিয়েটাও ভেঙ্গে যাবে।
প্রবেলম একটাই গার্লফ্রেন্ড আছে বলে নূরী কে না হয় তাড়িয়ে দিলাম কিন্তু আমার তো গার্লফ্রেন্ড নাই গার্লফ্রেন্ড কোথায় পাবো।
নাস্তা করে বের হয়ে হলাম সাথে হারামির দলের সাথে দেখা হয়ে গেলো।যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। এই হারামিদের দেখলে আমি ঘোড়ার মতো দৌড়ানি লাগাই।এক মাস হলো ওদের সাথে কোন দেখা নেই কথা নেই ফোন দিলে রিসিভ করি না।ওদের সাথে থাকলে প্রতিদিন সকালে যে আব্বুর পকেট থেকে টাকা চুরি করি সেগুলো ওদের পেটে চলে যায়। এছাড়াও ওদের দ্বারা আরো অনেক কাজ হয় আর সে সব কাজের মাসুল দিতে হয় আমার মতো অবুজ শিশুকে।
এইতো এক মাস আগের ঘটনা হাতির বাইচ্ছা গুলোর সাথে রেস্টুরেন্টএ গিয়েছি কথা ছিলো যার যা ইচ্ছে খাবে কিন্তু নিজের বিল নিজে দিবে।হাতির বাইচ্ছাগুলো ইচ্ছে মতো খাচ্ছে আর আমি হতভাগা হা করে তাকিয়ে আছি। খাওয়া শেষ করে সবাই এক এক করে কেঁটে পড়েছে, আমাকে পাছায় বাঁশ আর হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিলো।কি আর করা পাক্কা ৫ হাজার ৩ শত ৩৩ টাকা দিয়ে একটা টিসু চোঁখেরর পানি আর নাকের পানিতে ভিজিয়ে বাড়ি ফিরলাম তারপর থেকে হারামিদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকি।
.
–দোস্ত পালিয়ে যাচ্ছিস কেনো।(জাহেদ)
.
–আরে তোরা হলি আমার জানের প্রানের কলিজার টুকরা দোস্ত তোদের দেখে পালাবো কেনো।(আমি)
.
–তাহেল এক্ষুনি বাড়ির দিকে যাচ্ছিস কেনো মাএ তো বের হলি।(নীরব)
.
–মানিব্যাগ রেখে আসতে যাচ্ছি।তোরা যতই আমার জানের প্রানের কলিজার দোস্ত হও আমার মানিব্যাগের সাথে তোদের কোন সম্পক নেই।(আমি)
.
–আরে পাগল আয় তো তোর মানিব্যাগের উপর কোন চাপ দিবো না। (আরমান)
.
–না ভাই তোদের বিস্বাস নাই।তোরা যেকোন সময় যেখানে সেখানে আমাকে ফাসিয়ে দিতে পারিস।আমাকে ফাসিয়ে দিলেও আমার মানিব্যাগটা তো বেঁচে যাবে।(আমি)
.
–আচ্ছা যা ভাই রেখে আয়।একটু তাড়াতাড়ি আয়। (রাকিব)
.
মানিব্যাগটা বাড়িতে রেখে হারামিদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম আমি বসছি একটা গাছের গুড়ির উপর আর ৬ হারামি বসছে কোমর পযর্ন্ত দেওয়ালের উপর। আমি পশ্চিম দিকে মুখ করে বসছি আর ওরা পূর্ব দিকে। আমি নিচে বসে আছি আর ওরা সবাই দেওয়ালের উল্টো দিকে নেমে গেলো আমি বসে আছি। আমি মনে করছি হয়তো কারো মানিব্যাগ পড়ে গেছে তাই ওটার জন্য নিচে নেমে গেছে।
হঠাৎ করে একটা শব্দ বের হয়ে এলো “”এই সেক্সিরা তোমাদের যা হট লাগছে না””
.
–এই তোরা এটা কাকে বললি।এখানে তো কেউ নাই।(আমি)
.
–বেয়াদব পেছনে তাকা। তোর মতো ছেলেদের জন্য রাস্তায় বের হতেও পারবো না একটু।তোর ঘরে কি মা বোন নাই।(মেয়ে গুলো)
.
–আমি তো আপনাদের কিছু বলি নাই।ওরা বলছে।(আমি)
.
–তুই ছাড়া তো এখানে কাউকে দেখতে পাচ্ছি না।কাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছিস।(মেয়েরা)
.
–আরে ম্যাডাম আমি আপনাদের তো কিছুই বলিনি।আর আমার বন্ধুরা তো এখানে ছিলো ওরা কিছু বলছে হয়তো।(আমি)
.
–আমাদের কি পাগল মনে হচ্ছে তোর। তোর বন্ধুরা যদি এখানে থাকতো তাহলে ওদের দেখতে পাচ্ছি না কেনো।(মেয়ে)
.
–আরে ওরা তো এক্ষুনি সবাই আমার সাথে ছিলো এখানে আমরা সবাই বসে ছিলাম তারপর হঠাৎ করে ওরা সবাই দেওয়ালের ওপাশে গেলো তারপর তো আপনাদের বকবক করতে হচ্ছে। (আমি)
.
–কোথায় দেওয়ালের ওপাশে তো কেউ নেই।(মেয়েরা)
.
–আরে এটা কি করে হতে পারে ওরা সবাই এখানে ছিলো।(আমি)
.
–সবাই ওকে ধরতো। মেয়েদের ডিস্টার্ব করার শাস্তি কি হতে পারে দেখিয়ে দেয়।
.
উরাধুরা ৩ গাভীর থুক্কু মেয়ের হাতে মার খেয়ে বাড়িতে পৌছালাম।
কলিং বেল বাজাতে নূরী দরজা খুলে দিলো।আমার এমন অবস্হা দেখে হা করে আছে। এমন মার মেরেছে আমার এত শখের নীল শার্ট টা ছিড়ে ফেলছে পুরোটাই।
.
–কিরে তোর এ অবস্হা কে করলো।(নূরী)
.
–আরে আর বলিসনা আজকেও ওরা ফাসিয়ে দিলো।(আমি)
.
–ওরা যেহেতু তোরে বার বার ফাসিয়ে দেয় তাহলে তুই ওদের সাথে থাকিস কেনো।(নূরী)
.
–আরে আমি কি করে জানবো যে আমাকে মেয়ে গুলোর হাতে ছেড়ে দিয়ে সবাই পালিয়ে যাবে আর মেয়েগুলো আমাকে অালু বর্তা বানিয়ে দিবে।(আমি)
.
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে