অভেলায় ভালোবাসা অন্তিম পর্ব

0
3168
অভেলায় ভালোবাসা অন্তিম পর্ব
অভেলায় ভালোবাসা অন্তিম পর্ব

অভেলায় ভালোবাসা অন্তিম পর্ব

লেখা –সুলতানা ইতি

 

তখন আদনান আর নিহার ড্রইং রুমে বসে গল্প করছিলো
গাইথির চিৎকার শুনে দুজনেই দৌড়ে আসে,
চুহেস কে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে
দুজনেই ভয় পেয়ে যায়

নিহার আর আদনান চুহেস কে ধরে বেডে নিয়ে শোয়ায়

নিহার গাইথি কে উদ্দেশ্য করে বলে ম্যাডাম স্যার সেন্সলেস হলো কি করে

গাইথি তখন কাঁদছিল, কান্নার জন্য কথা ই বলতে পারছে না

আদনান নিহার কে বল্লো
– চুহেস কে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে তুমি ড্রাইভার কে গাড়ি বের করতে বলো

নিহার হুম বলছি, কিন্তু স্যারের জ্ঞান ফিরছে না কেনো
নিহার গাড়ি রেডি করে ফিরে আসে

আদনান আর নিহার চুহেস কে ধরে গাড়িতে উঠায়
গাইথি চুহেসের মাথার পাশে বসে অঝরধারায় কাঁদছে সে

হোসপিটালে ইমারজেন্সিতে চুহেস কে রাখা হয়
খবর পেয়ে ঐশী নিধিপা চলে আসে হোসপিটালে

ঐশী- কিন্ত হঠ্যাৎ কি হলো চুহেসের

নিহার- রিপোর্ট দেখার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না ভাবি

এই সময় ডাক্তার এসে বল্লো
-চুহেস মেহেরার বাড়ি লোক কে আছে,তারা আমার সাথে আসুন

গাইথি উঠে দাড়িয়েছে যাওয়ার জন্য
নিহার আর আদনান গাইথি কে থামিয়ে দিয়ে বল্লো,আমরা যাচ্ছি
আদনান ঐশী কে বল্লো তুমি ওর দিকে খেয়াল রেখো,

নিহার আর আদনান ডাক্তারের ক্যাবিনে যায়,
ডাক্তার ওদের কে দেখে বসতে বলে
নিহার না বসেই অনেক টা ব্যাস্ত কন্ঠে বল্লো
– স্যারের কি হয়েছে বলুন

ডাক্তার – বসুন, বলছি

নিহার বসার পর ডাক্তার বল্লো
– রোগীর কি আর কখনো এমন হয়েছে

নিহার- নাহ আমি সব সময় স্যারের সাথে থাকতাম আমি কখনো স্যারের এমন কিছু দেখিনি

ডাক্তার- কিন্তু মিঃ মেহেরার দুটো কিডনিই ড্যামেজ হয়ে গেছে,

ডাক্তারের কথা শুনে আদনান আর নিহার এক ই সাথে বলে উঠলো
– কি বলছেন আপনি, মানে এটা কি করে সম্ভব

ডাক্তার- দেখুন রিপোর্ট এ যা আছে তাই বল্লাম

আদনান- এখন কি করা যায় বলুন ডাক্তার

ডাক্তার- দেখুন আল্লাহ কে ডাকুন, উনার জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না

নিহার- ডক্টর যতো টাকা লাগে দিবো স্যার কে সুস্থ করে দিন

ডাক্তার- দেখুন একটা কিডনি দিয়ে ও মানুষ বাছে,কথা হচ্ছে উনার জ্ঞান না ফিরলে কিছু বলা যাচ্ছে না যেহেতু উনার দুটি কিডনি খারাপ হয়ে গেছে
সো আল্লাহ কে ডাকুন

ডাক্তারের ক্যাবিন থেকে নিহার আর আদনান বের হলেই গাইথি আদনান কে ঝড়িয়ে ধরে বলে
– ভাইয়া কি হয়েছে ওর সত্যি করে বলো

আদনান নিজেকে সামলে নিয়ে বল্লো
– তুই এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো গাইথি চুহেসের জ্ঞান ফিরলেই বলা যাবে, এতো ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি, চল আমরা বসি

কেনো জানি গাইথি আদনানের কথা বিশ্বাস করতে পারছে না,বার বার মনে হয় ভাই কিছু লুকাচ্ছে

কেটে গেলো কয়েক ঘন্টা চুহেসের এখনো জ্ঞান ফেরেনি
গাইথির হতাশা আর আতংক আর ও বেড়ে গেলো
এমন সময় নার্স এসে বল্লো
মিঃ মেহেরার সেন্স ফিরেছে, উনি নিহার কে ডাকছে

নার্সের কথা শুনে গাইথি অবাক হলো চুহেস আমাকে না ডেকে নিহার কে ডাকলো কেনো

নিহার চুহেসের কাছে যায়
– স্যার ডেকেছিলেন
চুহেস নিহারের দিকে তাকিয়ে বল্লো একটা কথা বলার ছিলো তোকে

নিহার- বলুন স্যার
চুহেস নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে নাম টা উচ্ছারন করলো
– সাইমুম কে একটু ডেকে আনো,বলবে যে একজন মৃত্যু পত যাত্রি ভাই তাকে ডাকছে

নিহার- স্যার আপনি কি বলছেন আপনি ভালো হয়ে যাবেন

চুহেস হালকা হেসে বল্লো যাও দেরি করো না
আর সবাইকে আসতে বলো

নিহার বেরিয়ে যায় গাইথির দিকে তাকিয়ে বল্লো
– ভাবি সবাইকে ডাকছে স্যার

আদনান ঐশী, আহমদ মেহেরা সবাই চুহেসের ক্যাবিনে যায়

চুহেস চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলো
গাইথি চুহেস কে বল্লো
– আপনি একদম কথা বলবেন না,ডাক্তার রা অপারেশনের ব্যাবস্থা করছে আপনি ভালো হয়ে যাবেন

চুহেস ম্লান হেসে গাইথির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আহমদ মেহেরার দিকে তাকালো বল্লো
– বাবা আপনার উপর আমার কোন অভিমান নেই ভুল বুঝবেন না আমাকে,
আমার বাবুই পাখি টার অভিযোগ ছিলো আমি কেনো আপনাকে বাবা বলে ডাকি না, এই শেষ বারের মতো ডাকলাম
বাবুই আর কোন অভিযোগ আছে তোমার

আহমদ মেহেরা কিছু বলার আগে গাইথি ডুকরে কেদে উঠলো
– আপনি এমন কথা বলছেন কেনো প্লিজ আপনি এসব কথা বলবেন না

চুহেস গাইথির কথার কোন উত্তর করলো
আদনানের দিকে তাকিয়ে বল্লো
– ভাইয়া জীবনের অন্তিম লগ্নে এসে তোমাদের এতো কাছে পেয়েছি যে খুব কষ্ট হচ্ছে স্রষ্টার ডাকে সাড়া দিতে তোমাদের ছেড়ে যেতে ইচ্ছে ই করছে না

ঐশী ভেজা গলায় বল্লো
– চুহেস চুপ করো তুমি, তুমি ভালো হয়ে যাবে,তুমি না থাকলে তোমার বাবুই কে, কে দেখবে

চুহেস দরজার দিকে তাকিয়ে আছে কিছুক্ষন পর নিহার সাইমুম কে নিয়ে চুহেসের ক্যাবেনি আসলো

সাইমুম কে দেখে গাইথি রেগে যায়
– উনি এখানে কেনো? একে কে ডেকেছে

চুহেস হালকা স্বরে বল্লো
– আমি ডেকেছি বাবুইপাখি টা

গাইথি- তুমি? তুমি কেনো ডেকেছো ওকে

গাইথি এই প্রথমবার চুহেস কে তুমি বল্লো, চুহেস কিছুক্ষন অপলক চাহনিতে গাইথির দিকে তাকিয়ে থাকলো
তারপর সাইমুম কে বল্লো
– ভাই মনে আছে তোমার গাইথি কে যখন নিহার বিয়ের আসর থেকে নিয়ে আসে তখন আমি তোমায় একটা চিরকুট লিখে দিলাম,”গাইথি তোমার,সে তোমার আছে,তোমারি থাকবে” আজ ও বলছি গাইথি তোমার,মাঝখানের এই দিন গুলো কে দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যেয়েও

সাইমুম- ভাইয়া আমি ছেয়েছিলাম গাইথি আমার হোক,এখন ও চাই,কিন্তু আপনার এই অবস্থা হোক তা আমি কখনো চাইনি,আপনি ভালো
হয়ে যাবেন ভাইয়া

চুহেস ম্লান হাসলো বল্লো
– আমি ভালো হয়ে গেলে গাইথি তোমার হবে না

সাইমুম- না হোক তাতে কি,ভালোবাসলেই যে তাকে নিজের করে পেতে হবে এমন কোন কথা নেই,কথা টা আমি আগে না বুঝলে ও এখন বুঝি

চুহেস- রাইট, ভালোবাসলেই যে নিজের করে পায় না এটা সত্যি,

এই বলে চুহেস গাইথির দিকে তাকায়
– বাবুই ভালোবেসেছি তোমায় সে ছোট্ট বেলা থেকে, কিন্তু তার প্রকাশ হয়েছে অবেলায়,তাই বেলা থাকতে তোমায় পাইনি,তবে এই নিয়ে আমার কোন দুঃখ নেই কারন জীবনের অন্তিম লগ্নে এসে তোমার এতো ভালোবাসা পেয়েছি যে, সব না পাওয়ার বেদনা দূর হয়ে গেছে

গাইথি স্টাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মনে হচ্ছে চুহেসের কথা গুলো তার কান অব্দি পৌছায় নি

চুহেস কিছুক্ষন চুপ করলো হয়তো কিছু একটা গোপন করার চেষ্টা করলো তার পর নিহার কে বল্লো
– ভাই তুই আমার ছোট হয়ে ও বড় ভাইয়ের মতো আমাকে আগলে রেখেছিস তোর জন্য আমি কিছুই করিনি,আমার বিজনেস এর ফিফটি পার্সেন্ট সেয়ার তোর নামে আছে,কাজ টা আমি অনেক আগেই করেছি কিন্তু তোকে বলা হয়নি,তোর আর নিধিপার জন্য আমার শুভ কামনা রইলো,

তার পর আদনান কে বল্লো
– ভাইয়া আমার অনেক প্রোপার্টি আছে সেগুলা এই মুহুর্ত থেকে আমার কাজে আসবে না,,, সেগুলা কে এমন ব্যাবস্থা করবেন যেন মৃত্যুরর পর আমার কাজে আসে

উপস্থিত সবার চোখে পানি
কারো মুখে কোন কথা

চুহেস আবা বল্লো
– এখন সবাই যেতে পারো আমার কথা শেষ

গাইথি চুহেসের হাত ধরে বসে পড়লো পাশে,
– আমি যাবো না তোমায় ছেড়ে,

এই বলে নিহারের দিকে তাকিয়ে বল্লো
– ভাইয়া আপনি গিয়ে খোজ নিন অপারেশনের সব কিছু রেডি হয়েছে কি না

নিহার বেরিয়ে গেলো গাইথির কথা মতো
বাকিরা ও বেরিয়ে গেলো

শুধু সাইমুম আর গাইথি থেকে গেলো
চুহেস কথা বলতে গেলে গাইথি বাধা দিয়ে বল্লো আর কোন কথা নয় বেশি কথা বলে ফেলেছেন এবার চুপ করুন

চুহেস- এই তো একেবারে ই চুপ হয়ে যাবো আর কখনো কথা বলতে আসবো না, যাবার আগে দু একটা কথা বলে যেতে চাই
– বাবুই, ফ্রান্সে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি রাবেয়া খালা আমায় সেখানে ডাক্তার দেখায়, সেখান কার ডাক্তার রা বলেছে আমার দুটো কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে,অবশ্য যদি নতুন করে একটা কিডনি দেয়া যায় তা হলে বাচার সম্ভবনা আছে
কিন্তু আমি নিষেধ করি,একদিন স্বপ্নে দেখলাম বাবা মা আমার জন্য অপেক্ষা করছে তাই আমি তাদের অপেক্ষার অবসান করাতে চাই

গাইথি- তুমি আমাকে আগে বলোনি কেনো

চুহেস- পাগলি আগে বলি আর তুমি কাঁদতে কাঁদতে আমাকে পাগল করে দাও এটা আমি চাইনি

সাইমুমের দিকে তাকিয়ে বল্লো
– সাইমুম আমার বাবুইপাখিটাকে কখনো ই কষ্ট দিবে না,আজ সে কাদবে আমার বিয়োগ তাকে কাদাবে কিন্তু এর পর থেকে আর তাকে কাঁদতে দিও না,বাবুইপাখির চোখে যে কান্না মানায় না

সাইমুম- ভাইয়া আপনি ভালো হয়ে যাবেন আপনার বাবুই পাখিকে আপনার ছেয়ে বেশি ভালো আর কেউ বাসতে পারবে না

চুহেস- অবুঝ হয়ওনা সাইমুম, বাবুই কে বুঝিয়ে রেখো

তার পর গাইথির দিকে তাকিয়ে বল্লো
– বাবুই তোমার প্রিয়ো নেইজিনের নীড় তোমারি থাকবে,

গাইথি- আমার এই সব কিছু চাইনা, এমন সময় ক্যাবেনি কয়েক জন নার্স ডুকলো ট্রলি ঠেলে
গাইথি চুহেস কে বল্লো
– তুমি ভালো হয়ে যাবে, অপারেশন টা হয়ে যাক তার পর দেখবে

চুহেস কে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলো
সাইমুম এসে গাইথির পাশে দাঁড়ায়

গাইথি- চুহেস অসুস্থ সে,সজ্ঞানে কথা গুলো বলেনি বুঝলেন

সাইমুম কিছু বলেনি
চার ঘন্টা পর ডক্টর বের হয় অপারেশ থিয়েটার থেকে

গাইথি ডাক্তার বের হতে দেখে দৌড়ে গিয়ে ডাক্তার কে জিজ্ঞাস করে চুহেস কেমন আছে

ডাক্তার মলিন মুখে গাইথির দিকে তাকিয়ে বলল স্যরি অপারেশন সাকসেস হয়নি,আমরা অনেক চেষ্টা করেছি

গাইথির গলাতে কথা আটকে আসছে তবুও অনেক কষ্টে বল্লো
– সাকসেস হয়নি মানে চুহেস কোথায় ডক্টর

কিছুক্ষন পর নার্সরা স্টেচারে করে চুহেস কে নিয়ে আসে গাইথি সে দিকে তাকিয়ে দেখে চুহেস ঘুমিয়ে আছে
সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে
চুহেসের দাফন হয় নেইজিনের নীড়ে গাইথির ইচ্ছেতেই হয়,

গাইথি রোজ এসে নেইজেনের নীড়ে সময় কাটায়, দিনের অর্ধেক সময় গাইথি এখানেই থাকে কারো সাথে কথা বলে না নিজের মতো চুপ থাকে আর নিজে নিজে কথা বলে,

গাইথির এই অবস্থা দেখে আদনান সহ সবাই সিদ্ধান্ত নেয় সাইমুমের সাথে গাইথির বিয়ে দিয়ে দিবে এতে যদি গাইথি একটু সহজ হতে পারে

তাড়া হুড়া করেই সাইমুমের সাথে গাইথির বিয়ে সম্পূর্ন হলো

আজ তাদের বাসর রাত
গাইথি চুহেসের ছবি হাতে বসে আছে আর চুহেস কে বলছে
– কোথায় তুমি, তোমার ইচ্ছে মতো আমি বউ সেজে বসে আছি, তুমি না বলেছিলে নেইজিনের নীড়ে আমাদের বাসর হবে, আমি তো সেখানেই বসে আছি কিন্তু তুমি আসছো না কেনো

কিছুক্ষন পর সাইমুম রুমে প্রবেশ করে গাইথিকে চুহেসের ছবির সাথে কথা বলতে দেখে নিঃশব্দে গাইথির পাশে গিয়ে বসে

নিচু স্বরে গাইথি কে ডাকে
– বাবুই
ডাকটা শুনে চমকে উঠে তাকিয়ে দেখে সাইমুম পাশে বসে আছে

গাইথি- একি আপনি,আপনি এখানে কেনো

সাইমুম- বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে চলো ব্যালকনিতে বসি

গাইথি- আপনি যান আমি যাবো না আপনার সাথে

সাইমুম গাইথি কে পাঁজাকোলা করে নিয়ে যায়
বাইরে অঝরধারায় বৃষ্টি হচ্ছে বাতাসের কারনে বৃষ্টির চাট এসে ওদের ভিজিয়ে দিচ্ছে

সাইমুম- গান শুনবে বাবুই

গাইথি- আপনি আমায় এই নাম ধরে ডাকবেন না

সাইমুম- আমি তো ডাকবো ই,তুমি দেখো চুহেস ঐখানে শুয়ে শুয়ে আমাদের দেখছে, আর তোমাকে বাবুই বলে ডাকাতে সে খুশি হয়েছে

গাইথি- মোটেই না,ও কখনো চাইতো না এই নাম টা বলে আমায় অন্য কেউ ডাকুক

সাইমুম-বাবুই চুহেস আমাদের মাঝে বেছে থাকবে তাই আমি চাইনা ওর সাথে ওর দেয়া নাম টা হারিয়ে যাক

গাইথির আর কিছু বল্লো না সাইমুম আর ও ক্লোজ হয়ে দাড়ালো গাইথির পাশে

গাইথি- আপনি গান গাইতে চেয়েছেন না, গাইতে থাকুন

সাইমুম গাইথির দিকে এক পলক তাকিয়ে গান ধরলো

“যদি মন কাদে তুমি চলে এসো,চলে এসো
এক ভরসায়

এসো ঝরো ঝরো বৃষ্টিতে
জ্বলোভরা দৃষ্টি তে
এসো কমলো শ্যামলো ছায়া
চলে এসো তুমি চলে এসো
এক ভরসায়
যদি মন কাদে তুমি চলে এসো এক ভরসায়

যদি ও তখন আকাশ থাকবে বৈরী
কদম ও গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরী

উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ঝলকে ঝলকে নাচিবে বিজলি আলো

তুমি চলে এসো চলে এসো
এক ভরসায়
যদি মন কাদে তুমি চলে এসো
এক ভরসায়

নামিবে আধার বেলা পুরাবার ফলে
মেঘ মুল্য বৃষ্টির ও মনে মনে ”

সাইমুমের গান শেষ হতেই
গাইথি কান্না আর ও বেড়ে গেলো
সাইমুম গাইথি কে বুকে ঝড়িয়ে নিলো
গাইথি কাঁদুক সাইমুম বাধা দিলো না,আজকের পরে আর কাঁদতে দিবো না আমি আমার বাবুই কে,

সাইমুম আর শক্ত করে গাইথিকে ঝড়িয়ে ধরলো
গাইথির কান্নার আওয়াজ কমে আসছে
হয়তো গাইথি ভরসা পাওয়ার স্থান টা খুজে পেয়েছে তাই

সমাপ্ত