contract_marriage★ part-11

0
3791

contract_marriage★
part-11

writer-Jubaida Sobti
আবির : ওহ তবে আমাকে কে সাজাবে।?
ভাবী : চুপ! শয়তান কোথাকার।?
নিলাকে ভাবী শাড়ী পরিয়ে সাজিয়ে ড্রইং রুমে নিয়ে গেলো সবাই একসাথে নাস্তা?? করলো।
নিলার সাথে ভাবী দাদি আবিরের মামাতো খালাতো বোনরা সবাই গল্প করছে।অনেক হাসাহাসি চলছে।
দাদী : হয়েছে হয়েছে অনেক গল্প করেছিস এবার আমার নাতি বউটাকে একটু বিশ্রাম করতে দে। যা সবাই।
সবাই চলে গেল। কিন্তু দাদী নিলার কাছে আবার আসলো।
নিলা : আরে দাদী আসো!
দাদী : নিলা তোকে কিছু বলার ছিলো আমার।
নিলা : হে দাদী বলো।
দাদী : নিলা তুইতো জানিস আবির কেমন। বিয়ে হয়েছে ঠিক কিন্তু তার ছেলেপনা গুলো এখনো যায়নি।ভবিষ্যৎ নিয়ে তার কোনো চিন্তা ভাবনা নেই।নিলা তবে তুই আমাকে একটা ওয়াদা কর।
নিলা : কি নিয়ে দাদী?
দাদী : তুই আবিরকে একজন জিম্মাদার মানুষ বানাবি। তার ভবিষ্যৎ ঠিক রাখার জন্য যা করার তুই সেটা ওকে করাবি।
( কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। সে দাদীকে কিভাবে বলবে এই ওয়াদা সে পুরণ করতে পারবে না। সে তো আবিরের জিবনে শুধু খানিক সময়ের জন্য।)
নিলা : কিন্তু দাদী কিভাবে?
দাদী : এতোসব আমি জানিনা। তুই আমার কসম খেয়ে বল। তুই পারবি?
নিলা : (নিলার কিছু করার ছিলনা) হে দাদী আমি তোমার কসম করে বলছি আমি আবিরকে একজন জিম্মাদার মানুষ বানাবো।
দাদী : (চোখের জল ফেলে) হে তুই পারবি। তোর ভালবাসা দিয়ে পারবি।
দাদী চলে গেলো। নিলার মাথায় কিছু আসছে না সে তো দাদীকে প্রমিস করে দিয়েছে কিন্তু কিভাবে পূরণ করবে।
আবির রুমে এসেছে।
নিলা : কোথায় ছিলেন?
আবির : বন্ধুদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
নিলা : তারার সাথে কথা হয়েছে?
আবির : কি বলবো তারাকে হে? তারা আমি বিয়ে করে ফেলেছি এটা বলবো?
নিলা : না তা বলবেন কেন।
আবির : সরি!
নিলা : সরি কেনো?
আবির : আসলে কি বলবো মাথায় কিছুই আসছে না। তারাকে মিথ্যা বলতে ও ভালো লাগছে না। আমিতো ওকে ভালবাসি ভালবাসার মানুষকে মিথ্যা কেমনি বলি।
নিলা : হুম আপনি কালকে যে কন্ট্রাক্ট ফাইল এনেছেন ওটা একটু দিবেন প্লিজ।
আবির : কেনো?
নিলা : দেখবো আরকি কাল রাতে ভালো করে পড়তে পারিনি তাই।
আবির উঠে আলমারি থেকে নিলাকে ফাইলটা দিলো।
নিলা আবিরের থেকে ফাইলটা নিয়ে টেবিল থেকে একগ্লাস পানি নিয়ে ফাইলের উপর ঢেলে দিলো। ফাইল পুরাটা ভিজে গেলো আর কোনো কাজের রইলো না।
আবির : (খুব রেগে গিয়ে) করছোটা কি?
নিলা : যা দেখেছেন তাই করছি।
আবির : এসবের মানে।
নিলা : এসবের মানে হলো কন্ট্রাক্ট পেপারে আপনার যেরকম শর্ত আছে ঐরকম কিছু শর্ত আমার ও থাকবে।তারপর ঐ কন্ট্রাক্ট পেপারে আপনার সাইন থাকবে আমার সাইন ও থাকবে।
আবির : কিরকম শর্ত তোমার?
নিলা : সেটা আমি পেপার আনার পর জানিয়ে দিবো।
আবির : তোমার এসব একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না নিলা?
নিলা : যা আপনি মনে করেন।
এই বলে নিলা রুম থেকে চলে গেলো।
নিলাদের বাসা থেকে তার কাজিনরা এসেছে নিলাকে দেখতে। নিলাতো অনেক খুশি পরিবারের মানুষ পেয়ে।
(শ্রেয়া নিলার কানে কানে আপু তোমার রুমটা কতো বড় কতো সুন্দর। তুমি আর আবির ভাইয়া দৌড়াদৌড়ি খেলতে পারবা)?
নিলা  মুচকি হেসে) তোর ও হবে একদিন এমন রুম।?
শ্রেয়া : হে কিন্তু আমার বর ও আবির ভাইয়ার মতো হ্যান্ডসাম হবে।?
নিলা:( একটু হেসে) হে রে পাগলি তাও হবে।?
সবাইকে রাতে খাবার দেওয়া হলো।
শ্রেয়া : নিলা আপু! আবির ভাইয়া কই গেলো? আমরা তো কখন এলাম আর ভাইয়ার দেখা পেলামনা এখনো।
আজ ডিনার ভাইয়ার সাথে করবো।
দাদী : হে তা করবিনা কেনো। তোরা তো ওর শালী। নিলা! আবিরকে ফোন দে তাড়াতাড়ি আসতে বল।
নিলা : জি! দাদি।
(নিলা আবিরকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু আবির ফোন ধরছে না কেটে দিচ্ছে।নিলা কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না)
(আবির তার বন্ধুদের সব খুলে বলার পর বন্ধুরা তার টেনশন কমানোর জন্য তাকে জোর করে ড্রিংকস খাইয়ে দে।কিন্তু আবির এর আগে কখনো এসব খাওয়াতো দূরের কথা ছুঁয়ে ও দেখেনি।)
হঠাৎ নিলার কানে বাহির থেকে আবিরের গাড়ির আওয়াজ আসে। সে তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেখে আবির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।আবিরের চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। নিলা গাভ্রিয়ে গেলো অনেক।
নিলা : কি হয়েছে আপনার?
আবির নিলার গায়ের উপর পরে যায়। নিলা অনেক কষ্টে আবিরকে ধরে।
আবির সোজা হয়ে দাড়াতে পারছে না।
আবিরকে দেখে তার পরিবারের সবাই অনেক অবাক হয়ে গেছে।তবে বিশ্বাস করতে পারছে না আবির ড্রিংকস করেছে আবিরতো কখনো ড্রিংকস করে না তবে আজ কেনো করলো।
আবিরকে তার মেজো ভাই ধরে রুমে দিয়ে আসে।
দাদী : (লজ্জাজনক মুখে মেহমানদের) আসলে আবির এমন না। আজ মনে হয় বন্ধুদের সাথে পরে খেয়েছে।
শ্রেয়া : দাদী! it’s a common matter… এখনকার যুগে এটা কোনো ব্যাপারি না।
সবাই রাতের ডিনার করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে গেলো।
নিলা তার রুমে গেলো। দেখছে আবির তার শার্ট খোলার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
নিলা গিয়ে আবিরকে শার্ট খুলে দিলো। আবিরকে পা তুলে খাটে শুয়ে দিলো। নিয়ম অনুযায়ী আজ নিলার পালা ছিলো খাটে শুয়ার।
নিলা : আপনি কিছু খাননি। আপনাকে খাবার দিবো?
আবির : (নেশাগ্রত ভাবে)আমি ড্রিংকস করেছি।
নিলা : কেনো করেছেন।
আবির : তোমার কারনে।শুধু তোমার কারনে।
নিলা উঠে চলে যাচ্ছিলো। ঠিক সেই সময় আবির নিলার হাতধরে টান দিলো আর নিলা আবিরের গায়ের উপর পরে গেলো।
আবির নিলার মুখ থেকে আলতো করে চুলগুলো সরিয়ে।
আবির : আই লাভ ইউ!
নিলা আবিরের মুখে এই কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়েছে। ঐ মূহুর্তটা লাগছে তার সর্গের মতো।
নিলা ও আবিরের কপাল থেকে তার চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে দিলো।
আবির : সব চেয়ে বেশী ভালবাসি তোমাকে। আই লাভ ইউ সো মাচ””! তারা !
নিলার মনটা তখন লাগলো কে যেন এসে একটা লাঠি দিয়ে বাড়ী মেরে চলে গেলো।
নিলা তার কোমোর থেকে আবিরের হাতটি সরিয়ে ছুটে আসতে চেয়ে ও আসতে পারলো না।
আবির নিলাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে।
(নিলা মনে মনে) অনি তো আমাকে তারা ভাবছে। তারা ভেবে এসব করছে। নেশা করে এসে রাতে রাতে সপ্ন দেখছে যতসব ডিসগাস্টিং।
নিলা একদৃষ্টিতে আবিরকে চেয়ে আছে। আবির ঘুমিয়ে আছে। ভালোবাসার মানুষটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে এতো সুন্দর লাগে এতো ভালো লাগে তা নিলা আগে জানতো না।
নিলা ও আবিরের বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে।
সকাল হলো।? আবিরের আগে ঘুম ভাংলো। আবিরের মাথা প্রচন্ড ব্যাথা করছে।
তারমাঝে আবির নিলাকে তার বুকে দেখে আরো অবাক হয়ে গেলো। মাথায় কিছু আসছে না নিলা তার বুকে কেনো।
আবিরের গায়ে কাপড় নেই কেন? এ.সি তো চলছে তবে……কাপড় কেনো খুললো।?
আবিরের দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে গেলো।
আবিরের নড়াচড়াতে নিলার ঘুম ভেংগে গেলো।
নিলা উঠে দাঁড়িয়ে গেলো।
আবির উঠে বসে।
দুজন দুজনের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না।
নিলা ওয়াস রুমে চলে যায় ফ্রেস হওয়ার জ্ন্য। ফ্রেস হয়ে এসে দেখে আবির এখনো বসে আছে।
নিলা : ফ্রেস হয়ে আসুন।
আবির : (মনে মনে ?এই মেয়ে এতো নরমাল ভাব করছে কেনো) উফফ কিছু বুঝছি না কি হচ্ছে।?
আবির ওয়াস রুম থেকে বের হয়ে দেখে নিলা বিছানা ঠিক করছে।
আবির দৌড়ে গিয়ে নিলার হাত ধরে টেনে তার দিকে ফিরিয়ে।
নিলা : ছিঃ….!….. এসব কি?(চোখে হাত দিয়ে)?
চলবে——-?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে