শেষ_পর্যন্ত পার্ট: ১২

0
1913

শেষ_পর্যন্ত

পার্ট: ১২

লেখিকা: সুলতানা তমা

নিলাকে ফিরে পেয়ে যেন আমি সব কষ্ট ভুলে গেছি, আমি আমার নিলাকে ফিরে পেয়েছি….

হঠাৎ কপালে কারো হাতের উষ্ণ ছোঁয়া অনুভব করে ঘুম ঘুম চোখে তাকালাম, আলিফা আমার পাশে বসে কপালে হাত দিয়েছে। কিন্তু এখানে তো নিলা ছিল আমি ওকে জরিয়ে ধরেছিলাম, নিলা কোথায় গেলো। চারপাশে তাকালাম নিলা নেই, আমি যেন কেমন এক ঘোরের মধ্যে আছি।
আলিফা: কি খুঁজছ
আমি: এখানে তো নিলা ছিল তুমি কখন এলে
আলিফা: তুমি বোধহয় স্বপ্ন দেখছিলে
আমি: স্বপ্ন
আলিফা: হ্যাঁ, তুমি ঘুমের মধ্যে নিলা নিলা বলে গোঙাচ্ছিলে, আমার ঘুম ভেঙে যায়। এসে দেখি তুমি এই চেয়ারে ঘুমিয়ে আছ আর ঘুমের মধ্যে কিসব বলছ
আমি: আমার গায়ে চাদর আসলো কোথা থেকে
আলিফা: সারারাত এখানেই ঘুমিয়েছ তো তোমার শরীর ঠান্ডা হয়েছিল তাই এই চাদরটা এনে তোমার গায়ে দিয়েছি
আমি: আর কতো মায়া বাড়াবে
আলিফা: বলেছিলাম না আমরা দুজন বন্ধু তাহলে মায়া ভাবছ কেন
আমি: তুমিও তো রাতে বললে আমি মায়া বাড়াচ্ছি
আলিফা: জানিনা চলো তো নাশতা করবে
আমি: হুম
আলিফা: ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো
আমি: হুম

নিলার ছবিটা আবার দেয়ালে রেখে দিলাম, পাগলিটা দূরে গিয়েও আমার স্বপ্নে আসে।

ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলাম। আলিফা সবাইকে খুশি মনে নাশতা বেরে দিচ্ছে। বাইরে থেকে বুঝার উপায় নেই এই মেয়ে যে দুদিন পর এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে, ওকে দেখলে মনে হয় যেন ও এ বাড়িরই মেয়ে।
আব্বু: কিরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন বস
আমি: আমাকে রেখেই তো সবাই নাশতা করে নিচ্ছ
ছোটমা: একজন কিন্তু করেনি
আমি: কে
ছোটমা: আলিফা (নামটা শুনে অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম)
রিয়ান: ভাইয়া এতো অবাক হচ্ছ কেন ভাবি তোমাকে ভালোবাসে তাই তোমাকে রেখে খায়নি সিম্পল (আলিফা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, সত্যিই কি ও আমাকে ভালোবাসে)
প্রিতি: ভাইয়া এভাবে কি দেখছ ভাবিকে তো নজর লাগিয়ে দিবে (প্রিতির কথায় লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি আলিফার থেকে চোখ সরালাম)
রিয়ান: ভাইয়া আমি ভাবছিলাম এবার তোমরা হানিমোনে গেলে কেমন হয় (খাবার মুখে দিতেই রিয়ানের এমন কথায় বিষম খেলাম। আলিফা তাড়াতাড়ি এসে আমাকে পানি দিলো)
প্রিতি: ইসরে কি ভালোপাশা
আব্বু: রিফাত রিয়ান কিন্তু কথাটা মন্দ বলেনি এবার তোদের হানিমোনে যাওয়া উচিত, একা সময় কাটানোর জন্য
আমি: আব্বু…
আব্বু: লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই আমি তো তোর মাকে নিয়ে কতোবার হানিমোনে গিয়েছি তার কোনো হিসেব নেই হাহাহা।
হঠাৎ করে সবকিছু কেমন যেন নীরব হয়ে গেলো। আম্মুকে নিয়ে কোনো কথা হলে আমরা তিন ভাই-বোন যেন কিছু সময়ের জন্য বোবা হয়ে যাই। মা না থাকার কষ্ট সত্যি অনেক যন্ত্রণাদায়ক।
ছোটমা: বাদ দাও তো এসব কথা, রিফাত শুন নীলিমা ফোন করেছিল আজ আমাদের যেভাবেই হউক যেতে হবে তুই আমাদের ষ্টেশনে দিতে যাবি তো
রিয়ান: কি যে বলো ছোটমা ভাইয়া ছাড়া কখনো কেউ তোমাদের ষ্টেশনে দিতে গিয়েছে
প্রিতি: হ্যাঁ সবসময় তো ভাইয়া আর নিলা আপুই দিতে যায় (নিলার কথা উঠতেই সবাই কেমন যেন স্তব্ধ হয়ে গেলো)
চাচ্চু: কেন যে তোরা এতো কথা বলিস
আমি: ছোটমা রেডি হয়ে আমাকে ডেকে নিও
ছোটমা: চলে যাচ্ছিস কেন নাশতাটা করে যা।
ছোটমার কথার উত্তর না দিয়ে রুমে চলে আসলাম।

নিলার ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছি আর দুচোখ বেয়ে পানি ঝরছে। আজ সব স্মৃতি চোখের সামনে ভাসছে। ছোটমা চাচ্চু গ্রামে যাওয়ার সময় নিলা আর আমি ওদের ছাড়তে ষ্টেশনে যেতাম আর আসার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফোচকা খেতাম। পাগলিটা অনেক জ্বাল খেতো সাথে আমাকেও খেতে হতো, আমি তো জ্বালে কান্না করে দিতাম।
আলিফা: রিফাত (হঠাৎ আলিফার ডাকে তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে নিলাম)
আমি: কিছু বলবে
আলিফা: একটা কথা জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে
আমি: কি
আলিফা: রাগ করবে নাতো
আমি: না বলো
আলিফা: নিলা কোথায় ওর কি হয়েছিল
আমি: আমার উপর অভিমান করে না ফেরার দেশে চলে গেছে
আলিফা: প্লিজ কান্না করো না
আমি: তিনটা বছর ধরে কাঁদছি তাতে নিলার কি ও তো ভালোই আছে উপারে
আলিফা: বলেছিলে না নিলার কথা আমাকে সব বলবে আজ বলোনা প্লিজ জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে
আমি: নিলা ছোট চাচ্চুর মেয়ে। চাচ্চুরা সবসময় গ্রামে থাকেন গ্রামের সবকিছু দেখাশুনা করার জন্য। নিলা কলেজে পড়ার জন্য আমাদের বাসায় এসেছিল, এখান থেকেই পড়তো। আজ তোমার সামনে যে রিফাত দাঁড়িয়ে আছে আমি তখন এই রিফাত ছিলাম না, সারাদিন সিগারেট আর বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে থাকতাম। পড়ালেখায় অমনোযোগী সারাদিন ঘুরাফেরা, আমার কাছে মনে হতো জীবন মানেই এনজয় করা। কিন্তু নিলা এসে আমার এসব ধারনা পাল্টে দেয়। আমি যদিও ওকে গ্রাম থেকে আসার জন্য অনেক অপমান করতাম গেয়ো ভূত ডাকতাম। তারপর আস্তে আস্তে কিভাবে যে দুজন বন্ধু হয়ে গেছিলাম বুঝতেই পারিনি। একসাথে কলেজে যাওয়া, ঘুরাফেরা আর আড্ডা তারপর বাড়িতে এসে এইটা সেইটা নিয়ে খুনসুটি। আস্তে আস্তে ভালো লাগা তারপর ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। একটা সময় আসে আমরা দুজন দুজনকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারতাম না তারপর….
আলিফা: তারপর কি
আমি: তারপর আব্বু আর চাচ্চু আমাদের বিয়ের কথা ভাবেন বিয়ের তারিখও ঠিক করেন
আলিফা: বিয়েটা হয়নি
আমি: নাহ
আলিফা: কেন
আমি: কি করে হবে নিলা যে লাল বেনারসি পড়ার বদলে সাদা কাপড় পরে নিয়েছিল
আলিফা: মারা গেলো কিভাবে
আমি: বিয়ের দিন সকাল বেলা নিলা আমাকে ছাদে ডেকে পাঠায়, আমি যাওয়ার পর আমাকে জরিয়ে ধরে খুব কাঁদে। জানতাম না কেন কাঁদছে আমি ভেবেছিলাম দুজন এক হচ্ছি এই খুশিতে কাঁদছে। ওকে লাল বেনারসিতে একবার আলাদাভাবে দেখতে চাই বলে চলে আসি।
আলিফা: তারপর
আমি: তারপর বিয়ের অনুষ্টান শুরু হয় সবাই একদিকে নিলাকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে অন্যদিকে আমাকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হঠাৎ নিলা আমার ফোনে মেসেজ করে ওর রুমে যাওয়ার জন্য। আমি সবার চোখের আড়ালে ওর রুমে যাই।
আলিফা: কেঁদো না প্লিজ
আমি: আমি ওকে বলেছিলাম না বউ সাজে আলাদাভাবে দেখতে চাই তাই ও বউ সেজে আমাকে রুমে ডেকে পাঠিয়েছিল। জানো আলিফা ওকে লাল বেনারসিতে একদম পরীর মতো লাগছিল আমি তো হা করে তাকিয়ে ছিলাম, নিলা এসে আমাকে জরিয়ে ধরে তারপর আমার হুশ ফিরে। জানিনা সেদিন ও বার বার কেন বলছিল ওকে অনেক আদর করতে, আমি অনেক বুঝিয়েছিলাম যে বিয়ে তো হয়েই যাচ্ছে ও সেদিন আমার কথা শুনেনি। তাই ওকে জরিয়ে ধরে একের পর এক চুমু দিয়ে আপন করে নিচ্ছিলাম। দরজা খুলা ছিল হঠাৎ নীলিমা এসে বলে বিয়ের আগে এসব ঠিক না। শালী হলেও তো একদিকে ছোট বোন লজ্জা পেয়ে চলে আসি। কিন্তু….
আলিফা: বলোনা
আমি: আমার রুম অবধিও আসতে পারিনি নিলা আমার নাম ধরে একটা চিৎকার দেয়। সবাই ওর রুমে যাই, গিয়ে যা দেখেছিলাম তার জন্য একদম প্রস্তুত ছিলাম না। নিলা ফ্লোরে পড়ে আছে মুখ থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে পাশে পানির গ্লাস ভাঙ্গা। ওর এই অবস্থা দেখে আমি ফ্লোরে দফ করে বসে পড়ি, ওর মাথাটা আমার কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। নিলা আমার মুখে হাত দিয়ে শেষ কথাটা বলেছিল “আমার মতো কাউকে বিয়ে করে নিও, তোমাকে সুখী দেখলে আমার আত্মা শান্তি পাবে”
তারপর আস্তে আস্তে ও আমাকে ছেড়ে চিরতরে চলে যায়। আমি ওকে পাগলি বলে অনেক ডাকি কিন্তু ও কোনো সাড়া দেয়নি, ছোটমা তখন চিৎকার করে বলেছিল নিলা মারা গেছে সাথে সাথে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। একমাস হসপিটালে ছিলাম একদম মরার মতো, সবাই তো বলেছিল আমি নাকি আর বাঁচবো না।
আলিফা: বলোনা প্লিজ
আমি: হসপিটাল থেকে বাসায় এসে সারাদিন নিলার রুমে পরে থাকতাম, ওর স্মৃতি আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইতাম। কিন্তু মৃত মানুষের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে কি বাঁচা যায়। সবাই বললো নীলিমাকে বিয়ে করে নিতে যদি ওর মাঝে নিলাকে খুঁজে পাই কিন্তু আমি বিয়ে শব্দটা শুনলেই ভয় পেতাম কষ্ট হতো কাঁদতাম। তারপর আস্তে আস্তে সবাই বিয়ের কথা বলা ছেড়ে দেয় আমিও এভাবেই কাটিয়ে দেই তিনটা বছর। নিলার স্মৃতি আর মাঝে মাঝে গ্রামে গিয়ে নিলার কবর আঁকড়ে ধরে কান্না এভাবেই কেটে যায় তিন বছর।
আলিফা: (নিশ্চুপ হয়ে কাঁদছে)
আমি: আর পারছি না আমাকে এক গ্লাস পানি দিবে।
বিছানায় এসে বসে পড়লাম, আলিফা পানি এনে নিজেই খাইয়ে দিলো।
আলিফা: রিফাত তোমার অসস্থি লাগছে তুমি শুয়ে পড়ো
আমি: হুম

বিছানায় শুয়ে আছি আলিফা আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, খুব ইচ্ছে হচ্ছে আলিফাকে বলি আমি ওর মাঝে নিলাকে খুঁজে পেয়েছি আমি ওকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
আলিফা: আচ্ছা রিফাত নিলা বিষ খেয়েছিল কেন
আমি: এই প্রশ্নের উত্তর আমি আজো পাইনি
আলিফা: যেদিন তোমাদের দুজনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছিল সেদিনই নিলা বিষ খেলো ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত না, আচ্ছা তুমি নিলার হাতে বিষের বোতল পেয়েছিলে
আমি: না শুধু একটা পানির গ্লাস ভাঙ্গা দেখেছিলাম
আলিফা: তারমানে বিষ পানিতে ছিল
আমি: হ্যাঁ
আলিফা: নিলার যদি বিষ খাওয়ার ইচ্ছে থাকতো ও তো বোতল থেকেই খেতে পারে পানিতে মিশিয়ে খেতে যাবে কেন
আমি: কিচ্ছু জানিনা আমি
আলিফা: রিফাত বিষয়টা এতো সহজভাবে নিও না ভেবে দেখো নিলা চাইলেই কিন্তু বোতল থেকে বিষ খেতে পারতো ও অযতা পানিতে মিশাতে যাবে কেন তারমানে পানিতে আগেই বিষ মিশানো ছিল আর নিলা সেই পানিটা খায়
আমি: কি বলতে চাইছ
আলিফা: বলতে চাইছি এটাই নিলা বিষ খায়নি ওকে বিষটা খাওয়ানো হয়েছিল
আমি: মানে
আলিফা: প্লিজ তুমি উঠো না তোমার শরীর খারাপ
আমি: নিলাকে বিষ খাওয়াবে কে
আলিফা: সেটা তো আমি বলতে পারবো না কিন্তু একটা বিষয় ভেবে দেখো নিলার যদি বিষ খাওয়ার ইচ্ছে থাকতো তাহলে ও বিয়ের দিনই খেলো কেন এর আগে খেতে পারলো না, ওর যদি সুইসাইড করার ইচ্ছে থাকতো তাহলে ও বিয়েতে রাজি হয়েছিল কেন, আর সবচেয়ে বড় বিষয় তো নিলা তোমাকে ভালোবাসতো তাহলে ও সুইসাইড করতে যাবে কেন
আমি: তাহলে নিলাকে বিষ খাওয়াবে কে নিলার তো কোনো শত্রু ছিল না ও খুব ভালো মেয়ে ছিল
আলিফা: এইটা পরে ভেবো এখন একটা কথা বলতো
আমি: কি
আলিফা: যেখানে তুমি বিয়ের কথা শুনলেই ভয় পেতে আমাকে ভালোবাসলে কিভাবে আর এভাবে হুট করে বিয়েও করে নিলে। (আলিফার হাতটা আমার বুকের সাথে জরিয়ে ধরলাম)
আমি: প্রথম যখন তোমাকে দেখেছিলাম তুমি রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে। ঠিক এভাবেই রাগি চোখে তাকাতো নিলা এই রাগি চোখ দিয়ে আমাকে শাসন করতো। তুমি বিড়ালের যত্ন করছিলে নিলাও এমন ছিল কখনো কোনো কিছুকে কষ্ট দিতো না। কয়টা বলবো বলো, তোমার মাঝে যে নিলার অনেক স্বভাব আমি খুঁজে পেয়েছি শুধু আমি না বিয়ের পর আমার পরিবারের সবাই তোমার মাঝে নিলাকে খুঁজে পেয়েছে। প্রথম দেখায় মনে হয়েছিল আমি আবার নিলাকে খুঁজে পেয়েছি তাই কোনো কিছু না ভেবে হুট করে বিয়ে করে ফেলি কারণ আমার ভয় হয়েছিল নিলার মতো যদি তোমাকেও হারিয়ে ফেলি। বিশ্বাস করো আলিফা আমি তোমাকে ততোটাই ভালোবাসি নিলাকে যতোটা বাসতাম আমি তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই। আমি তো নিজের জীবনের কথা ভাবা ছেড়েই দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি হঠাৎ আমার জীবনে আসলে, তোমাকে পেয়ে মনে হয়েছিল আমি আবার নতুন করে বাঁচতে পারবো, তোমাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে পারবো। আলিফা তুমি কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে নাতো, নিলার মতো যদি তুমিও আমাকে একা করে চলে যাও আমি সত্যি মরে যাবো। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
আলিফা: কাঁদছ কেন পাগল
আমি: তুমিও তো কাঁদছ। আচ্ছা আমি কাঁদলে তুমি কাঁদো কেন, আমি কষ্ট পেলে তুমি কষ্ট পাও কেন।
আলিফা: জানিনা।
আলিফার হাত বুকে জরিয়ে ধরে কাঁদছি, মনে হচ্ছে ওর হাত ছাড়লেই ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আলিফা ওর আচল দিয়ে আমার দুচোখের পানি মুছে দিলো তারপর আমাকে জরিয়ে ধরলো…..

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে