মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৩

0
2071

মেয়েটা অসত্বী  পর্ব/ ৩

লেখক/ ছোট ছেলে

********

বাসায় ঢুকতে দেখি রিমি খাওয়ার টেবিলে বসে আছে

কিন্তু দেখে মনে হয় মেয়েটা ঘুমিয়ে পড়েছে

আমি কোনকিছু না বলে রুমে চলে গেলাম

গোসলটা করে শুয়ে রইলাম

কিছুক্ষণ পরে রিমি এসে বললো

রিমি/ কখন আসলেন আপনি
চলুন খেতে যাবেন টেবিলে খাবার দেয়া আছে

আমি/ তুমি কি করে ভাবলে তোমার হাতের রান্না খেয়ে আমি পেট ভরাবো

যাও এখান থেকে

আমার প্রতি এত খেয়াল যত্ন না রাখলেও চলবে

রিমি/ আচ্ছা আপনি কি চান কেন এমন করছেন আমার সাথে

আমিতো কোন ক্ষতি করিনি আপনার….

আমি/ বাহ্ বাহ্ বাহ্…..
নষ্টা একটা শরীর নিয়ে অন্যের বউ হওয়া এটা কি কোন ভালো কাজ

কেন বিয়ের আগে যাকে সব দিলে তাকে রেখে আমার জীবনে কেন আসলে

কেন আমার জীবনটা নষ্ট করলে আমিও তো তোমার কোন ক্ষতি করিনি

রিমি/ চুপ করুন চুপ করুন আমি আর শুনতে পাচ্ছিনা আপনার কথা

মানুষ খারাপ হয় জানা ছিলো

তবে এতটা নোংরা মনের হয় তা জানা ছিলোনা

আপনি কারও স্বামী হবার-ই যোগ্য নয়

আপনার মনে ভালোবাসা নেই

আছে শুধু সন্দেহ আর নোংরামি

এই দুদিনে আপনাকে আমার চেনা হয়ে গেছে

ছিঃ…. ভাবতে আমার ঘৃণা হয় আপনার মত মুখোশধারী অমানুষ আমার স্বামী

আমি/ কি…. তুই আমাকে অমানুষ বললি

তোকে অনেক সহ্য করেছি আর না

রিমিকে বেল্ট দিয়ে কয়েকটা দিলাম

বিছানা পড়ে পড়ে কাঁদতে লাগলো মেয়েটা….

আমি/ এই চুপ থাক একদম চুপ

কোন আওয়াজ করবিনা
যদি করিস তাহলে মেরে ফেলবো তোকে

রিমির মুখ চেপে ধরে রইলাম
রিমি শ্বাস নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে এমন সময় ছেড়ে দিলাম

রিমি খুব বড় করে শ্বাস নিতে লাগলো

আমি/ যদি আজকের এই কথা গুলো কাউকে বলছিস তাহলে স্বামীর সংসার তোর কপালে নেই

যা ভাগ এখান থেকে

রিমির কান্না যেন আর থামার নয়

কেঁদে গেলো কেঁদে গেলো

উফফফ…… অসহ্য জোর করে টেনে হেঁছড়ে রিমিকে ঘর থেকে বের করে দিলাম

দরজাটা লাগিয়ে দিলাম

আর বললাম এখন থেকে তুই এ ঘরে বন্ধী থাকবি

যখন আমি চাইবো তখন-ই তুই আলোর দেখা পাবি

খাওয়া দাওয়া ঘুম সবকিছু আজ থেকে এ ঘরে করতে হবে

বলে নিজের ঘরে এসে শুয়ে রইলাম

একটু পরে এক বন্ধু ফোন দিলো

বন্ধু/ কিরে দোস্ত চলবে নাকি

আমি/ যা বলার খুলে বল

বন্ধু/ আরে দোস্ত রাগ করিস কেন

তোর জন্য একটা মেয়ের ব্যবস্থা করেছি

আমি জানি তোর মনে অনেক দুঃখ কষ্ট

বন্ধু হয়ে আমরা কি তা সহ্য করতে পারি

তাই তোর জন্য আমাদের থেকে ছোট এই উপহার

সারারাত মজা নিতে পারবি
আর মেয়েটাও কিন্তু হেব্বি সুন্দরী

আমি প্রথমে না করে দিবো ভাবলেও এখন ভাবছি আর করবনা

জীবনটা যখন নষ্ট হয়ে গেছে তখন মিথ্যে স্বপ্ন দেখে কি হবে

আমি/ ঠিক আছে পাঠিয়ে দিস

বন্ধু/ কিন্তু দোস্ত তোর অসত্বী বউটা যদি কিছু বলে

আমি/ আরে দূররররর ও কি বলবে আমি কি কথায় চলি নাকি

তোকে ঐসব ভাবতে হবেনা
আমি রিমিকে বন্ধী করে রাখছি ঘরে

বন্ধু/ বলিস কি দোস্ত জব্বর খবর শোনালি তো

হা হা হা???

তাহলে তো আর কোন কথাই নেই মেয়েটাকে আমি তোর কাছে সময় মত পাঠিয়ে দিবো

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে

ফোনটা রেখে দিলাম

রিমিরও কান্না আর কোন আওয়াজ শোনা যাচ্ছেনা

গিয়ে একবার দেখবো নাকি

না থাক এত পিরিত দেখাতে পারবনা

দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে আসলো

নিজেই নিজের জন্য এককাপ চা বানালাম

চা খাচ্ছি আর টিভি দেখি রিমির কথা মাথায় নেই আমার

একটু পরে দরজা কে যেন ঠক ঠক আওয়াজ করলো বুঝতে পারছি

বুঝতে পারছি কে হতে পারে

তাই দেরি না করে দরজা খুললাম

দরজা খুলতে নীলা বলে উঠলো

নীলা/ আপনি ধ্রুব

আমি/ হ্যাঁ। কিন্তু আপনি?

নীলা আমার নাম শুনতে পেয়ে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেয়ে বললো

নীলা/ আমাকে চিনতে পারলেন না
আমি সে মেয়েটা যাকে আপনার বন্ধু পাঠিয়েছে আজ রাতের সঙ্গী করে

আপনাকে একটু সুখ দেওয়ার জন্য

আমি/ ওহহহহ আচ্ছা আচ্ছা
বুঝতে পারছি

আসুন ভিতরে আসুন

বলবো আর কি বলার আগে মেয়েটা ঢুকে পড়েছে

আপনি বসুন আমি আসতেছি

নীলা/ এই শোন আপনি আপনি করে কাকে বলছো

এখন থেকে আমরা দুজনও ফ্রেন্ড তাই আপনি নয় তুমি করে বলবে

আমি/ আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বসো আমি আসতেছি

নীলা/ এখন আবার কোথায় যাচ্ছো এতবড় বাড়িতে আমার ভয় করবে

আমি/ আরে ভয় পাওয়ার কি আছে তুমি এক মিনিট বসো আমি আসতেছি

নীলা/ ওকে সোনা তাড়াতাড়ি আসবে কিন্তু

চলবে…???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে