একবৃষ্টিরদিনে  পার্ট: ২

0
2685

একবৃষ্টিরদিনে

পার্ট: ২

#Rabeya Sultana Nipa

 

__সাবাই কতো খুশি এই বিয়ে নিয়ে,বাড়িতে অনেক গেস্ট চলে এসেছে।কিন্তু আয়ানের মনে একটুও খুশী না।আয়ান মনে মনে ভাবছে এই তানিশা মেয়েটার তো কোনো দোষ নাই।শুধু শুধু তাকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি।তাকে সব বলে দেওয়াটাই ভালো হবে।

আয়ানের মা -কিরে! তুই বসে বসে কি ভাবছিস? আজ তোর engaged।মনে করে ছিলাম বড় করে একটা পার্টি দেবো তা আর হলোনা।তাড়াতাড়ি রেডি হয়েনে সবাই এসে গেছে।

আয়ান -মা! আমি ওইখানে যেতে পারবোনা। আমার জরুরী কাজ আছে।তুমি আর বাবা আজকে একটু সামলিয়ে নাও।

আয়ানের মা -এইসব তুই কি বলছিস? তোকে ছাড়া engaged করলে লোকে কি বলবে?

আয়ান -মা! লোকের কাছে আমার কিছু যায় আসে না।আর তুমি বাবাকেও বুজিয়ে বলো।শুধু আজকের দিনটার জন্য

কথা গুলো বলেই আয়ান বাহিরে চলে গেলো।এইদিকে তানিশা আজ সুন্দর করে সেজেছে।আয়ানের সাথে আজ যেই করেই হক কথা বলতেই হবে।ওই ছেলে ভেবেছে কি? ওই দিন আমার দিকে একবারো তাকালো না,আচ্ছা ওই ছেলের কি রিলেশন আছে নাকি অন্য কারো সাথে? আজ আসলে ভালো করে জিজ্ঞাস করে নিতে হবে।

_সবাই এসেছে পার্টিতে।শুধু আয়ান আসে নাই।সবাই যার যার মতো আনন্দ করতে লাগলো। আয়ানের সব কাজিনরা এসেছে।তানিসাকে দেখে আয়ানের এক কাজিন বলে উঠলো সবাই কে, কি রে গাধাটা যে এতো সুন্দরী বউ পাবে আমি তো ভাবতে পারতেছিনা কথাটা শুনে সবাই হেসে দিলেও তানিসা মন খারপ করে বসে আছে।

তানিশার বাবা তার মাকে বলতে শুনাছে আয়ান আজকে আসবে না।কোনো একটা কাজে আটকা পড়ে গেছে।তাই তানিসা ভাবছে আজকের দিনের থেকে তার কাজটাই হয়ে গেলে? সত্যিইতো গাধা না হলে এইরকম কাজ কেউ করতে পারে?

সন্ধ্যায় engaged এর সব কাজ শেষ করে আয়ানদের সবাই বাসায় এসেছে।আসার সময় বিয়ে দিন তারিখ পাকা করে এসেছে।
একটু পর আয়ানও বাসায় এসে দেখে সবাই ড্রইং রুমে তার বিয়ে নিয়ে কথা বলছে।আয়ানের কাজিনরা সবাই বিয়েতে কি করবে না করবে সবাই বসে প্লান করতেছে।
আয়ান এই সব দেখে কিছু না বলে তার রুমে চলে যাচ্ছে দেখে তার কাজিন রিয়া বললো,আয়ান ভাইয়া তুমি চোরের মতো পালিয়ে যাচ্ছো কেন?তোমার বিয়ে নিয়ে আমরা সবাই কতো প্লান করতেছি আর তুমি পালিয়ে যাচ্ছো?

আয়ান – কই আমি পালিয়ে যাচ্ছি? আমি তো রুমে যাচ্ছিলাম!

মিতু -(আয়ানের মামাতো বোন) আচ্ছা ভাইয়া তোর বউযে এতো সুন্দরী আগে কেন বললিনা।জানিস আমি যদি ছেলে হতাম তোর বউকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম।

আয়ান -তোরা চুপ করবি? তোদের যা ইচ্ছা তাই কর।কিন্তু আমাকে জালাতে আসবি না বলে দিলাম।
কথাটা বলেই আয়ান তার রুমে চলে গেলো।

মিতু -(আয়ানের মাকে) ফুফি তোমার ছেলেকি এই বিয়ে রাজি নয়? আমরা সবাই কতো খুশি আর সে রাগ দেখিয়ে চলে গেলো?

আয়ানের মা-ওই পাগলের কথা বাদ দে বিয়ে হলে এমনি ঠিক হয়ে যাবে।

__আয়ান ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে তার ফোন বাজছে! ফোনের নাম্বার টা ও তার চিনা নয় ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে গেলো। ফোন আবার বেজে উঠলো সেই আগের নাম্বার থেকেই।আয়ান ফোনটা রিসিভ করা মাএই

তানিশা -এইযে মিঃ আয়ান নিজেকে কি ভাবেন বলুন তো? আপনি কোন রাজ্যের রাজা আপনি? আপনি একটা ঘন্টা সময় দিতে পারেননা।?

আয়ান-আরে আপনি কে বলছেন? আর আমি নিজেকে কিছুই মনে করিনা একজন সাধারণ মানুষ ছাড়া।

তানিশা -যাকে বিয়ে করবেন তাকেই চিনেন না।আর চিনবেন কি করে?একটা বার তো আমার দিকে তাকালেনও না।

আয়ান -ওহ সরি। আসলে আমি অনেক ভিজি ছিলাম তা আসতে পারিনি। কিন্তু আপনি নাম্বার কোথায় পেলেন?

তানিশা -আপনার এক কাজিন দিয়ে গেছে।যাওয়ার সময় বলেছে গাধাটাকে ঠিক করতে।

আয়ান -কিহ আমি গাধা? আচ্ছা ওদেরতো আজ খবর আছে।কিন্তু তানিশা আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিল।

তানিশা-হ্যা বলুন!

আয়ান -আসলে আমি আপনাকে,,,,,,,,,,(কথাটা না বলতেই আয়ানের মা এসে বললো কিরে তুই এখনো ঘুমাসনি?)আচ্ছা আমি তোমার সাথে পরে কথা বলছি।বলে ফোন টা রেখে দিলো।

আয়ানের মা -বিয়ের দিনটা তারিখ তো পেলে দিলাম।তোর বাবাকে বলে ছিলাম তোকে একবার জিজ্ঞাস করার জন্য।তোর বাবা বললো দরকার নেই।

আয়ান -তোহ বিয়ে কতো তারিখে পেললে?

আয়ানের মা – সামনের শুক্রবার আর ৬ দিন পর।জানিস আয়ান আমার আর তোর বাবার মেয়েটাকে অনেক পছন্দ হয়েছে।আমার মনে হচ্ছে ও আমারই মেয়ে।কতো ভাগ্যে করে এমন মেয়ে পাওয়া যায়।কথা গুলো বলে আয়ানের মা চলে গেলো

__আয়ান মনে মনে ভাবছে,তানিশাকে আর কিছু বলবেনা।তার বাবা মা কতো খুশি। জীবনেতো কিছুই করতে পারলাম না। বিয়েটা করে না হয় বাবা মাকে খুশি করলাম।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আয়ান কখন ঘুমিয়ে পড়লো তার মনে নেই।

চলবে,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে