তোমাকে_চাই পর্ব:-৯+১০

0
1932

তোমাকে_চাই পর্ব:-৯+১০
#আরবী_আরভী

#Part_9 (Season 2)

উনি আমাকে উনার বুকের কাছে নিয়ে মুখটাকে উপরের দিকে উঠিয়ে ঠোঁটগুলো চুমু আকার করে চেপে ধরে কড়াই কড়াই গুনে ১০ বার আমার ঠোঁটগুলোকে উনার ঠোঁটগুলোর সাথে মিশিয়ে চুমু খেলেন।।

পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ খুলতেই দেখি আম্মু ডেবডেবিয়ে আমার গলার দিকে তাকিয়ে আছেন আমি ঘুম ঘুম চোখে তাকে বলে উঠলাম,,,
-কি হয়েছে আম্মু,,, এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
উনি সন্দেহজনক দৃষ্টিতে রেহান ভাইয়ার দেয়া চেইনটা স্পর্শ করে উত্তর দিলেন,,
-এই চেইন কই পেলি আবার R রকেটের,,,,, কে দিয়েছে তোকে ??
আমি এক লাফে ঘুম থেকে উঠে আমতা আমতা করে কোনরকমে আম্মুকে সামলানোর জন্য বলে উঠলাম,,,
-ইয়ে মানে আম্মু এটা-না রিমির চেইন দুষ্টুমি করে পড়েছিলাম আর দিতে মনে নেই,,
-আচ্ছা ঠিক আছে আজকেই দিয়ে দিবি না হয়ে খবর আছে,,, নিজের গুলো তো পড়িস না,,
-আম্মু দিয়ে দিব,,,
আম্মুর আচরণে স্বাভাবিকতার ছোয়া পেয়ে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস নিলাম।।তিনি রুম থেকে চলে যেতেই বুকে হাত দিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে আর কখনো এই চেইন পড়বো না বলে মনস্থির করলাম।। না হয়ে যেকোনো সময়ে ধরা পরার সম্ভাবনা আছে।।

তারপর স্কুলের জন্য রেডি হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আচমকা জনকভাবে রেহানের সাথে আমার দেখা।। উনাকে দেখেই মনের ভেতর কেমন যেন একটা লজ্জা কাজ করতে লাগল আমার।। যার রেখা আমার মুখে স্পষ্ট।। আমার যা উনার অবস্থা হয়তোবা তাই।। তাইতো উনি বাইক ঠিক করতে করতে আমাকে দেখে মুচকি হাসছেন।। কাছে গিয়ে কিছু বলতে যাব তার আগেই উনি মুচকি হাসি ভুলে মুখটা গম্ভীর করে বলে উঠলেন,,,,,,,
-গিফটা কি তোর পছন্দ হয়নি,,
মনে মনে ভাবলাম পছন্দ হয়েছে বইকি একদম অফুরন্ত লেগেছে কিন্তু তোমাকে বলা যাবে না চান্দু।। সাজ সকালে তোমার মাথাটা গরম করে দিলে কেমন হয় বলোতো।।। তাই উনাকে রাগানোর জন্য বেখেয়ালি চাউনিতে বলে উঠলাম,,
-পছন্দ হয়েছে কিন্তু আমি ওটা পরতে পারবো না,,,
-কেন,,,
-কেউ দেখলে ভাব্বে আমি প্রেম ট্রেম করি তাই,,,,
-তাহলে কি তুই ধোয়া তুলসীপাতা নাকি?? (মুখটা পেঁচার মতো করে)
-তা তো বটেই,,,
-Wht!!! তাহলে আমার সাথে তোর কি চলে,,
-কিছুই না,,, (মুচকি হেসে)
-অওও ওকে,,, (ভীষণ রেগে গিয়ে মুখটা বাদুড়ের মতো করে )

কথাটা বলে এক সেকেন্ডেই রেহান ফোল স্পিডে বাইক রাইডিং করে গেইট অতিক্রম করে ফেলেছেন রীতিমত।। আর এদিকে আমার হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাওয়ার উপক্রম।।ব্যাটা আচ্ছামত শায়েস্তা হয়েছে দেখছি ।।

স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে দেখি রিয়া আপুমনি বেড়াতে এসেছেন।। তার হাসিঠাট্টা একদম অসহ্য লাগে আমার।। যাইহোক ফ্রেশ হয়ে রেহানের রুমে গিয়ে শুনি উনি নাকি বাড়ি ফিরেনি এখনো।। জিমে গিয়েছেন ।। এই বৃষ্টিতে নাকি আবার জিমে যাওয়া লাগে।। যত্তসব ডং।। কথাগুলো বিরবিরিয়ে পেছনে ফিরে রেহানের বুকের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতেই উনি আমাকে সামলে নিয়ে জোরে কোমড়ে আকড়ে ধরে উনার বুকের সাথে আমার দেহটাকে একদম লেপ্টে দিয়েছেন।। আমি অজানা দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি অন্যদিকে তাকিয়ে এখনো মুখ গম্ভীর করে আছেন।। না পারতে যে সাহায্য করছেন তা উনার চেহারায় স্পষ্ট লেখা।।। ওদিকে তিশা আর রিয়া আপুর আসার আহট পেয়ে উনি আমার আকড়ে ধরা কোমড়টা ছেড়ে দিলেন আমিও স্বাভাবিক হয়ে গেলাম।।
বিকেল বেলা সবাই ড্রইং রুমে বসে আছি।। রেহান ভাইয়া আর রিয়া আপু এক সোফায় বসে কথা বলছেন।। আজকে উনি রিয়াকে একটু বেশিই প্রাধান্য দিচ্ছেন কারন উনি জানেন যে আমি রিয়াকে একদম সহ্যই করতে পারি না।। সকালের প্রতিশোধ নিচ্ছেন মনে হচ্ছে।। কিছুক্ষন পর রিয়া আপুর বায়না এই বৃষ্টির দিন রেহান ভাইয়াকে একটা গান গাইতেই হবে ভীষণ রিকোয়েস্ট করছে সে আর আমি এক দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে চোখগুলো রসগোল্লার মতো বের করে না গাইতে ইশারা করছি।। উনি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গিটারটা হাতে নিয়ে গানে সুর ধরলেন ,,,,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


তোমাকে আপন করে রেখে দেব বাহুডোরে তাইতো দু হাত আমি বারালাম,,,,,,সাজিয়ে মনের ঘরে নিয়ে যাব বহু দূরে তাইতো এসে আমি দাড়ালাম,,,,

গানটা যদিও আমার পছন্দের তবুও সেটা তো আর আমার জন্য গাইছেন না তাই গা টা জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে আমার।। উনি গান গাওয়ার ফাকে ফাকে আড়চোখে তাকিয়ে আমার অবস্থাটা উপলব্ধি করে মুচকি হাসছেন আর আমি ভেংচি কেটে ওখানে বসে তেলেবেগুনে জ্বলছি।।রিয়া আপুর এইভাবে মুগ্ধ হয়ে উনার গান শোনা জাস্ট অসহ্য লাগছে আমার।।যদিও উনার গানের গলা বেশ সুন্দর তার পরেও রিয়া আপুর সাথে উনার হাসি তামাশা প্রতিনিয়ত ধৈর্য্যের বাদ ভেঙে দিচ্ছে ।। তাই মনের শান্তির জন্য এক লাফে ওখান থেকে উঠে ডাইরেক্ট ছাদে গিয়ে দরজাটা খুলে দেয়ালে গা টা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টির টাপুর-টুপুর ধ্বনির মিলনমেলা শুনতে লাগলাম।।কিন্তু সেখানেও কোন নিস্তার নেই।। ডেভিল ইডিয়ট রাব্বিস্টা এসে হাজির হয়ে হাতে একটা চিমটি কেটে আমার মগ্নতার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে বলে উঠলেন,,,,,,
-গানটা কিন্তু আপনার জন্যই ছিল ম্যাডাম,,,, একটা থ্যাংকস তো দিতে পারতেন নাকি,,
-আর ন্যাকামি করতে হবে না যার জন্য গেয়েছেন তার কাছ থেকে শুধু থ্যাংকস না হাগ, কিস আরো অনেক কিছু পাবেন তাই অযথা আমার পেছনে সময় নষ্ট করার কোন মানে নেই,,(একঝাঁক বিরক্তি নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে)

উনি কথাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে একটু মুচকি হেসে একটানে আমাকে ছাদের মাঝখানে নিয়ে উপস্থিত করলেন।।। রাগে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।। এমন কাজ কেউ করে।। ভিজে পুরো কাক হয়ে গেছি দুজন।। আমি চোখগুলো অগ্নি কুন্ডলী করে উনার দিকে তাকালে উনি আমার রাগান্বিত চেহারাটার দিকে তাকিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে দিলেন।। বেশ সুন্দর লাগছে উনাকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি আমি।। অপলকহীনভাবে সেই মায়াভরা চোখে ভেসে যাচ্ছি অনাবরত।।ভেতরে থাকা অনুভুতিটাকে আর না লুকিয়ে আমিও উনার সাথে হেসে দিলাম।। দুষ্টুর রাজা একটা।।

কিছুক্ষণ পর উনি আমার পেছনে এসে দু হাত আমার দু হাতের সাথে মিলন ঘটিয়ে কানে ফিসফিস করে বলে উঠলেন,,,,,
-হিসাবটা আদায় করে নেই,,
-কিসের,,,,,(ভীতু কন্ঠে নিচের দিকে তাকিয়ে)
-হাগ, কিস আরো অনেক কিছুর,,,,,,,
কথাটা শুনে মনের ভেতর কেমন যেন একটা অজানা অনুভূতি কাজ করছে আমার।। ডুবডুবিয়ে কে যেন ঢোল পিটাতে শুরু করেছে।। লজ্জাও লাগছে অনেক।।তাই মাথা নেড়ে একটু মুচকি হেসে উনাকে না সোচক উত্তর দিয়ে বলে উঠলাম,,, ,
-না,,,
-কেন,,,, আপনেই তো আমাকে লেকচার দিলেন যার জন্য গেয়েছি তার কাছ থেকে আদায় করে নিতে তাই না,,,
-একদম না
কথাটা বলে দৌড় দিতেই উনি আমার হাতটা বেশ জোরে আকড়ে ধরে উনার বুকের সাথে মিশিয়ে নেন।। দুজনের শরীরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পরছে।। হালকা বাতাসে দুটো ভেজা শরীর এক হয়ে আছে।। আমি উনার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি উনিও অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আস্তে করে আমার কপালে ভালবাসার রেখা এঁকে দিলেন সাথে সাথে আমি আমার দুটি নয়ন বন্ধ করে উনার সেই ভালবাসার অনুভূতিটাকে অনুভব করতে ব্যাস্ত হয়ে পরলাম।। হঠাৎ এক প্রচন্ড দমকা আওয়াজ আমাদের কানে আসে।।তাৎক্ষণিকভাবে রেহানকে ছেড়ে ছাদের দরজার দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেছি ।। আকাশটা যেন ভেঙে পড়েছে আমার উপর।। বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি সেও একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।। হাত পা গুলো রীতিমত কাঁপা কাঁপি শুরু করে দিয়েছে।। অংকটা যে তার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে তার সাক্ষী বহন করছে তার জলজ্যান্ত চেহারাটা,,,,,,,, চলবে

#তোমাকে_চাই (Season 2)
#পার্ট_১০
#আরবি_আরভী

হঠাৎ এক প্রচন্ড দমকা আওয়াজ আমাদের কানে আসে।।তাৎক্ষণিকভাবে রেহানকে ছেড়ে ছাদের দরজার দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে গেছি ।। আকাশটা যেন ভেঙে পড়েছে আমার উপর।। বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি সেও একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।। হাত পা গুলো রীতিমত কাঁপা কাঁপি শুরু করে দিয়েছে আমার ।। অংকটা যে তার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে তার সাক্ষী বহন করছে তার জলজ্যান্ত চেহারাটা,,,,,,প্রেমময় পরিবেশটা যেন নিমিষেই স্তব্ধতায় পরিণত হয়েছে।।আমি দৌড়ে তার কাছে গিয়ে রীতিমত কেঁদে দিলাম হাত জোর করে তার কাছে আকুতি মিনতি করতে লাগলাম।। রেহান কিছুই বলছেন না পেছন ফিরে শুধু দাঁতে দাঁত কামড়াছেন।। কিন্তু আমার বিনয়ের শেষ নেই একনাগাড়ে তার কাছে মিনতি করেই চলছি,,,,

-রিয়া আপু প্লিজ কারো কাছে বলো না প্লিজ আপু,,,,,,

রিয়া আপুমনির কোনো সাড়াশব্দ নেই।। নাক মুখ কালো করে সেই যে দাড়িয়েছেন যেন পাথর হয়ে গেছেন। আমাদের দিকে তাকাছেন না পর্যন্ত।। রেহানের কাছ থেকে এমনটি কখনোই আশা করেন নি তা আমার জানা।। শত হলেও মনের মানুষের ব্যাপার যা কেউই মেনে নিতে পারে না।।

আমার আর্তনাত দেখে রেহান দৌড়ে এসে এক ধমক দিয়ে আমাকে থামিয়ে চোখগুলো লাল করে ভীষণ রেগে রিয়া আপুকে বলে উঠলেন,,,
-তুই এখানে যা দেখেছিস তা কি নিচে গিয়ে বলবি রিয়া???
রিয়া আপুমনি কিছুই বলছেন না ভীতু চেহারায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন।।তার এরুপ নিরবতা দেখে রেহান ভাইয়া আবার প্রচন্ড জোরে ধমক দিয়ে কথার উত্তর জানতে চাইলে রিয়া আপু এবার মুখ খুলে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠেন,,,,
-না,,,,,কাউকে বলবো না,,,
কথাটা বলেই সে দ্রুত গতিতে সিড়ি দিয়ে নেমে নিচে চলে গেলে আমি উনার দিকে আবেগী চাউনিতে তাকিয়ে বেখেয়ালি কন্ঠে বললাম,,,
-এখন যদি সে সবকিছু বলে দেয়,,,

কিন্তু উনি বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিয়ে আমাকে এক টানে উনার বুকের সাথে মিশিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলেন,,,
-চিন্তা কেন করছিস বিয়ে করে নিব তো তোকে,,,
-কিন্তু সবাই মেনে নিবে তো,,,
-পারবি না এই দুনিয়াটার সাথে লড়াই করে আমাকে জিতে নিতে ??
-হুম্মম পারবো,,,,,
এবার উনি আমাকে ছেড়ে একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে বলে উঠলেন,,,
-হুম্মম আমি তো জানতাম আমার লক্ষী বউটা পারবে,,,

পরেরদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে শুনি রিয়া আপু নাকি চলে গেছে।।প্রথমে একটু অবাক হয়েছি পরে ভাবলাম গেছে ভালোই হয়েছে না হয় আমি তো তার চোখের দিকে তাকাতেই পারতাম না।।

তার কয়েকদিন পর স্কুল থেকে ফিরে দেখি আমার ২ চাচ্চু বাবাই আর পরিবারের সবাই মিলে বিশাল মিটিংয়ে ব্যাস্ত।।সব বড়রা আছেন তাই আর বিষয়টা জানার সাহস পাইনি।। পরে আম্মুকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম আজ বাদে কাল নাকি বড় চাচ্চু(রেহান ভাইয়ার আব্বু) পরিবারসহ ২ তলায় সিফট হবেন আর মিঠি আপুরা ১ তলায়।। কথাটা শোনার পর সাথে সাথে আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়।। কখনো এই বিচ্ছিন্নতা চাইনি।। আর আমি রেহানকে না দেখে থাকবো কি করে।। কথাগুলো ভাবতেই বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে আমার আর চোখ থেকে তো অনাবরত পানি পড়ছেই ।।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো কিন্তু উনার সাথে আমার কোন যোগাযোগ হলো না।। এখন থেকেই অল্প অল্প করে
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে রাখছেন তাই রেহান খুবি ব্যাস্ত এইসব কাজে।।।আমার কোন কথা শোনার মতো তো উনার সময় নেই।।শেষমেশ মন মরা হয়ে উনার রুমে গিয়ে পড়ার চেয়ারটায় থঁ মেরে বসে টেবিলে মাথাটা রেখে চোখের জল ফেলতে লাগলাম।। কিছুক্ষন পর উনি রুমে এসে আমার এই অবস্থা দেখে চমকে উঠে জিজ্ঞাসা করে বসলেন ,,,
-নিসা কি হয়েছে কাদছিস কেন??

উনার কথার উত্তর না দিয়ে চেয়ার থেকে উঠে দৌড়ে গিয়ে উনাকে বুকের সাথে মিশিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁন্না করে বললা,,,
-কিভাবে থাকবো রেহান,,,??
উনি আমাকে জোরে তার বুকের সাথে আকড়ে ধরে বলে উঠলেন,,,,
-আমি তো এখানেই আছি পাগলী,,,,, হ্যাঁ আগের মতো কথা হবে না,,, কিন্তু তুই কোন টেনশন নিস না এটার ব্যবস্থাও করে ফেলবো এখন প্লিজ কাঁন্না থামা লক্ষী বউ আমার,,,,
-হুম্মম,,,,(উনাকে ছেড়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে)

রাতে আমি চৌতি আপু আর মিঠি আপু সবাই একসাথে বসে পড়ছি।। আমার পড়ায় কোন মন নেই।। থাকবেই বা কি করে মন তো রেহানের কাছে পড়ে আছে।। প্রতিটা মুহুর্তে যে আমার উনাকে চাই।।এইসব ভেবে মনে প্রচন্ড রকমের কষ্ট অনুভব করছি।। কিছুক্ষণ পর আমার ধ্যানের ছেদ পড়লো রেহানের উৎকৃষ্ট আওয়াজে।। বইটা কোনোরকমের বন্ধ করে দৌড়ে উনার কাছে দীর্ঘ শ্বাস নিতে নিতে বললাম,,,
-এইভাবে ডাকছেন কেন?
উনি রুমের দরজাটা আড়াল করে একটা সদ্য স্মার্ট ফোন প্যাকেজ থেকে খুলে আমার হাতে দিয়ে বলে উঠলেন,,,,,
-খুব সাবধানে রাখবি,,,, আমার নাম্বারটা সেইভ আছে রাতে আমি কল করবো ওকে,,,
আমি ফোনটা হাতে পেয়ে তা ধিন তা নাচার উপক্রম।। ইচ্ছা করছে এখুনি উনার গালে কয়েকটা কিস বসিয়ে দেই।।। আম্মুর ফোনটা একটু ধরলেই বকুনি শুরু।। এই প্রথম আমি নিজের কোন ফোন পেলাম।। উনি যা কিছু বোঝাছেন সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।।। হাতে ফোন পেয়েছি এটাই বড় কথা,,,,,,,
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে