অন্যরকম_বিয়ে  প্রথম_অংশ

0
5661

অন্যরকম_বিয়ে
প্রথম_অংশ

ভাইয়া ঐ আপু টা আপনারে যেতে বলছে,,,

– কোন আপু ?

– ঐ রাস্তার পাশে দারিয়ে আছে যে।

– ওকে, তুমি গিয়ে ঐ আপুরে বলো ভাই চা’ টা শেষ করেই আসতেছে,,,

– ওকে ভাইয়া,,,

দোকানে বসে চা’ খাচ্ছিলাম ঠিক তখনেই একটা ছোট বাচ্চা এসে বলল একটা মেয়ে নাকি আমাকে যেতে বলছে।তাই ‘চা’ টা তারাতারি শেষ করে গেলাম মেয়েটার কাছে,,,

কাছে গিয়ে দেখি এতো মিলি।মিলি হচ্ছে আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে।ওদের বাসা আমাদের বাসা প্রায় পাশাপাশিই।

মিলিকে দেখে বুকের ভেতরে কেমন করে উঠল।এই মেয়ের সাথে দেখা হওয়া মানেই বিপদে পরা।তাও কাছে গিয়ে জিগ্যেস করলাম,,,

– কি জন্য ডেকেছ বল,,,

– ভাইয়া আমি একটা বিপদে পরছি।আমাকে একটু হেল্প করতে হবে।

– কিন্তু আমি তো তোমাকে কোন রকম হেল্প করতে পারবো না।

– কেন ভাইয়া ?

– তোমাকে হেল্প করতে গেলে আমি নিজেই যে বিপদে পরে যাই।

– এইবার আর বিপদে পরবেন না।

– তোমাকে এখন পযন্ত তিন বার হেল্প করেছি আর তিন বারই আমি বিপদে পরেছি।এইবারো যে বিপদে পরবো না তার গ্যারান্টি কি ?

– আমি নিজে গ্যারান্টি এইবার আপনি আর কোন রকম বিপদে পরবেন না।

– ওকে,,,আগে সমস্যার কথা বলো তারপর ভেবে দেখবো হেল্প করব কি করব না।

– ভাইয়া বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছেন।

– এটা তো খুবি ভাল কথা।

– কিন্তু ভাইয়া আমি একজন কে ভালবাসি তাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না ভাইয়া।

– এটা তোমার বাবাকে বল,,,

– বাবাকে বলেছি।কিন্তু বাবা আমার কথা কিছুতেই বিশ্বাস করতেছে না।

– তো এখন আমি তোমাকে কিভাবে হেল্প করবো ?

– আপনি বাবাকে আমাদের সম্পর্কের কথা বলবেন।

– আমাদের সম্পর্ক মানে ??

– আমি যাকে ভালোবাসি তার আর আমার সম্পর্কে বলবেন।

– ওহ্,,,,

– আমি বাবার সাথে আপনার কথা বলিয়ে দিচ্ছি আপনি বলেন।

– আমি একটা বিষয় কিছুতেই বুঝতেছি না।

– কি বিষয় ভাইয়া।

– তোমার বাবা তোমার কথা বিশ্বাস করে না তাহলে আমার কথা বিশ্বাস করতে যাবে কেন ?

– আমি বাবাকে বলেছি আপনি সব কিছুই যানেন।

– কিন্তু আমি তো কিছুই যানি না।

– একটু মিথ্যা বলবেন বাবাকে এই আরকি।

– মিথ্যা বলাটা কি ঠিক হবে ?

– আপনার এই একটু মিথ্যাই পারে আমাদের দুজনের ভালবাসা এক করে দিতে পারে।প্লিজ ভাইয়া শেষ বারের মতো এই হেল্প টা করেন।

– ওকে কিভাবে কি বলব তুমি একটু শিখাইয়া দেও।

– বাবা যাই বলবে আপনি শুধু হম বলবেন।

– ওকে দেও তাহলে তোমার বাবারে ফোন।

– হ্যালো,,,,

– ‘আসসালামু অলাইকুম’ অঙ্কেল।

– মিলি যা যা বলেছে সব কিছুই কি সত্য ?

– হ্যাঁ,সব সত্যি।

– কাজটা মোটেও ভাল হয়নি,,

– হ্যাঁ,কিন্তু কি আর করার আছে,,,

– আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো,

– সব মেনে নেওয়াই ভাল,,,সবকিছুই তো আপনার মেয়ের ইচ্ছেতেই হয়েছে।

– দ্বারা আমি তোর বাবার সাথে কথা বলছি,,

ফোন লাউড স্পিকারে ছিল।মিলির বাবা এই কথাটা বলতেই মিলি আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে কলটা কেটে দেয়।

– কি ব্যাপার কলটা কেটে দিলে কেন ?

– বাবার যা জানার তা তো জানা হয়ে গেছে,,,

– কিন্তু আমি ওনার শেষের কথাটার মানে বুঝলাম না।

– বাবা বলতে চেয়েছেন আপনি বাবার বন্ধুর ছেলে হন।আমার এই ব্যাপারটা আপনি জানেন তাহলে বাবাকে আগে কেন বললেন না।

– কিন্তু আমার কাছে কেমন কেমন যানি লাগল কথাটা।

– আরে বাবা আপনাকে এটাই বলেছে,,,,

-ওকে।

তোমার কাজ তো হয়ে গেছে তাহলে আমি এখন আসি।

– ধন্যবাদ ভাইয়া,,,,

কিন্তু ভাইয়া আমার আর একটা হেল্প লাগবে ?

– আবার হেল্প,,,, ওকে বল কি হেল্প,,,,

– আমাকে একটু আমার মামার বাড়িতে দিয়ে আসবেন ?

– ওকে,,,, দিয়ে আসবো।

মিলিকে তার মামার বাড়িতে দিয়ে আসার সময় আমার ফোনে একটা কল আসল,,,ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি বাবা কল দিয়েছে,,,

বাবা সচারাচর আমাকে ফোন করেনা।
ফোন ধরার পর বাবা শুধু বলল,,,,

– তুই তারাতারি বাসায় আয়,,,

আমার মনে হলো বাসায় খুব বড় বিপদ হয়েছে,,,তাই দেরি না করে তারাতারিই চলে আসলাম।

বাসায় ঢুকে বুঝলাম বাসার পরিবেশ থমথমে।ড্রয়িং রুমে কেউ নেই।প্রথমে ছোট বোনের রুমের দিকে গেলাম।ওই রুমে না ঢুকতেই বাবা ডাক দিল,,,

-এ দিকে আয় তুই,,,,

আমি বাবার ঘরে ঠিকমত না ঢুকতেই বাবা বিছানা থেকে উঠে এসে এক থাপ্পড় মেয়ে আমার কান তব্দা করে ফেলছে,,,,,


চলবে,,,,

#লেখা || Tuhin Ahamed

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে