♥Love At 1st Sight♥ Season 3 Part – 14

0
6406

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 14

writer-Jubaida Sobti

দুজন দুদিক তাকিয়ে ব্লাশিং হতে লাগলো.. কথা বলছে না ঠিকই কিন্তু মনটা ছটফট করছে দুজনের,

হঠাৎ, গাড়ী থামিয়ে,

রাহুল : তুমি একটু বসো আমি আসছি! [ বলেই রাহুল বেড়িয়ে পড়ে, এবং কিছুক্ষণ পর একটা বড় গিফট বক্স হাতে নিয়ে এগিয়ে আসে ]

স্নেহাও কিছু জিজ্ঞেস করলো না…গাড়ী চলতে লাগলো,

হঠাৎ গাড়ী, একটি বাড়ীর সামনে এসে দাঁড়ালো,

স্নেহা অবাক হয়ে চেয়ে আছে রাহুলের দিক! রাহুল বুঝতে পারছে স্নেহার মনে হাজারো প্রশ্ন জাগছে!

রাহুল : [ গিফট বক্সটি হাতে নিয়ে স্নেহার দিক এগিয়ে এসে দরজা খুলে দেই স্নেহা নেমে আসে ] কি হলো?..চেহেরা এমন বানিয়ে রেখেছো কেনো?…

স্নেহা : নাহ কিছুনা!

রাহুল স্নেহার হাত ধরে বাড়ীর ভেতরে নিয়ে যায়…

বেল দিতেই! একজন মহিলা এসে দরজা খুলে,

মহিলা : আসসালামু-আলাইকুম রাহুল ভাইয়া!

রাহুল চোখ দিয়ে ইশারা করে কারো কথা জিজ্ঞেস করলো মহিলাটির কাছ থেকে! মহিলাটি ভেতরের রুমের দিক ইশারা করে চলে যায়!

রাহুল স্নেহার হাত ধরে নিয়ে ভেতরে এগিয়ে যায়! এবং দেখে একজন মহিলা পেছন ফিরে খাটে বসে আছে!

রাহুল গিফট বক্সটি টেবিলের উপর রেখে…পেছন থেকে মহিলাটিকে গিয়ে ঝড়িয়ে ধরে,

রাহুল : হ্যাপি বার্থডে মা!

[ স্নেহা অবাক হয়ে চেয়ে থাকার পর এখন বুঝতে পারলো তার মানে ইনি রাহুলের মা! ]

রাহুল উইশ করার পরেও তার মা..কোনো জবাব দিলো না…মুখ গোমড়া করে বসেই আছে!

রাহুল : সরি! মা…রাতে ড্রাংক ছিলাম তাই আসতে পারিনি! আচ্ছা এই নাও কান ধরলাম!

[ রাহুলের মা তাও কোনো জবাব দিলো না ]

রাহুল : ওকেই! আমি কিন্তু তোমার জন্য দারুণ একটা সারপ্রাইজ এনেছি! সেটা দেখলে তোমার সব রাগ চলে যাবে!

[ রাহুলের মা মুখ ফিরিয়ে নিলে, রাহুল তাকে জোড় করে দাড় করিয়ে স্নেহার দিক ফিরিয়ে দেই ]

রাহুল : আচ্ছা ঠিকাছে সারপ্রাইজ দেখবানা তো ঠিকাছে [ বলেই তার মা কে…আবার বসিয়ে দেই…কিন্তু তিনি আবার উঠে দাঁড়িয়ে স্নেহার দিক এগিয়ে আসে, ]

স্নেহা পা ধরে সালাম করতে গেলে তিনি স্নেহার হাত ধরে ফেলে, স্নেহার সামনে চলে আসা চুল গুলো কানের কোণে গুজে দিয়ে একপলকে চেয়ে আছে স্নেহার দিক!

মা : তুমি স্নেহা তাই না?…[ বলতেই চোখে জল টলমল করছে ]

স্নেহা মাথা নাড়িয়ে হুম বললো! সাথে অবাক ও হলো যে ইনি তার নাম কি করে জানে!

মা : মাশাল্লাহ!

রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] স্নেহা! ইনি আমার মা!

মা : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] বেষ্ট সারপ্রাইজ! রাহুল [ বলতেই চোখ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে ]

রাহুল : [ চোখ মুছে দিয়ে ] ওহো! মা আবার কাদছো কেনো?..

মা : আরে দাঁড়িয়ে আছো কেনো স্নেহা ?..বসো! বসো! [ বলেই স্নেহাকে টেনে খাটে বসালো ]

[ রাহুল গিফট বক্সটি এগিয়ে এনে খুলে তা থেকে একটি কেক বের করে সামনে রাখলো.. এবং তার মায়ের হাতে একটি প্লাষ্টিক নাইফ এগিয়ে দিলো…রাহুলের মা স্নেহার হাতটি ও এগিয়ে নিয়ে এক সাথে কেক কাটলো! ]

কেক কেটে সবার আগে স্নেহার মুখে তুলে দিলো… স্নেহা অবাক হয়ে চেয়ে আছে,

মা : আরে কি হলো নাও!

স্নেহা : [ অল্প একটু খেয়ে কেক হাতে নিয়ে আবার রাহুলের মাকে খাইয়ে দিলো! ] হ্যাপি বার্থ ডে! [ বলেতেই রাহুলের মা স্নেহাকে ঝড়িয়ে ধরলো ]

রাহুল : আরে মা! আমাকে খাওয়াবে না!?

মা : [ একটু হেসে হাতের কেক গুলো রাহুলের মুখে লাগিয়ে দেই ]

রাহুল : আরে! মা কি করছোটা কি!

[ রাহুল আর তার মায়ের বাচ্চামি দেখে স্নেহা হাসতে থাকে ]

মা : আচ্ছা তোদের খিদে লেগেছে বোধ হয়?..তাই না..?

রাহুল : হ্যা! তা তো অনেক লেগেছে…

মা : স্নেহা! তুমি রাহুলের সাথে বসো! আমি খাবার দিচ্ছি ওকে!

[ স্নেহা মাথা নাড়ালো,মা চলে গেলো ]

রাহুল : [ এগিয়ে এসে স্নেহার পাশে বসে ] জানো স্নেহা! মায়ের বার্থডে শুধু আমি আর মা মিলে সেলেব্রেট করি! তোমাকে আজ এইখানে কেনো এনেছি জানো?..

স্নেহা : কেনো?..

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় এবং চেঁচিয়ে বলতে থাকে ] আমি আমার লাইফের স্পেশাল দিন গুলো স্পেশাল মানুষদের সাথে সেলেব্রেট করি! [ বলেই স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকে,]

স্নেহা : [ লজ্জা পেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে টেবিলের দিক এগিয়ে যায় এবং একটি ফোটো ফ্রেম হাতে নিয়ে দেখতে থাকে ]

রাহুল : [ স্নেহার পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ] ছোট বেলার ফোটো!

স্নেহা : [ একটু হেসে ] এটা আপনি তাই না?…

রাহুল : ইয়েস্!

স্নেহা : হুম! কিউট!

রাহুল : [ স্নেহাকে তার দিক ফিরিয়ে ] আর এখন! [ with tedi smile ]

স্নেহা : [ রাহুলের মুখে লেগে থাকা ক্রিম গুলো আংগুল দিয়ে রাহুলের নাকের মধ্যে লাগিয়ে দেই ] এখন Beard Man!

[ বলেই হেসে সরে যাচ্ছিলো, রাহুল স্নেহার হাত ধরে টেনে আবার ঐ জায়গায় দাড় করায়! ]

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] আরে!

[ রাহুল তার মুখটা স্নেহার মুখের সাথে ঘষে দিয়ে তেডি স্মাইল দিতে থাকে ]

স্নেহা : আআহ! [ বলেই হাত দিয়ে মুখ ঘষতে থাকে ]

রাহুল : Beard Man তাই না?..

স্নেহা : [ হেসে ব্লাশিং হয়ে অন্যদিক ফিরে যায় ]

[ হঠাৎ রুমে কেউ আসার শব্দ পেলে স্নেহা তাড়াতাড়ি সরে দাঁড়িয়ে যায়… এবং দেখে ঐ মহিলাটি খাবার রেডি হয়েছে তা বলেই চলে যাচ্ছে, ]

রাহুল : এসো স্নেহা!

স্নেহা : ইনি কে?…

রাহুল : মায়ের সাথেই থাকে,বাসায় কাজ করে দেই!

স্নেহা : ওহ!

রাহুল : So! যাওয়া যাক!

স্নেহা : হ্যা!

[ স্নেহা রাহুলের পিছন পিছন ড্রইং রুমে গেলো…. এবং গিয়ে দেখে টেবিলে নানারকম খাবার সাজানো ]

রাহুলের মা : এসো এসো! এইদিকে বসো স্নেহা! [ স্নেহা গিয়ে বসলো, রাহুল স্নেহার অপোসি্টেই বসলো ]

স্নেহা রাহুলের দিক চেয়ে আছে রাহুল যতোটুকু না খাচ্ছে তার চেয়ে বেশিই অপচয় করছে! স্নেহা একটু হেসে খাওয়া শুরু করলো!

রাহুলের মা : কেমন হয়েছে স্নেহা খাবার?..

স্নেহা : জি! অনেক ভালো! আপনি রেঁধেছেন?..

রাহুলের মা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম!

রাহুল : মা! জানো স্নেহা ও অনেক ভালো রান্না জানে!

মা : তাই নাকি?..

স্নেহা : জি! না..মানে অল্প একটু পারি! তবে এমন ভালো না!

রাহুল : ঐ মিথ্যে কেনো বলছো! ঐ দিন জারিফা আমাকে বলেছে!

স্নেহা : ওহ! ও..তো এমনিতেই একটু বাড়িয়ে বলে!

রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে থাকে, স্নেহা লজ্জা পেয়ে পানির গ্লাস এগিয়ে নিয়ে খেতে লাগলো,

রাহুলের মা : আরে স্নেহা! এতো অল্প কি খেয়েছো! [ বলেই আরো দিতে লাগলো ]

স্নেহা : না না…আমার পেট ভরে গেছে!

রাহুল : আরে কি ভরে গেছে?.. [ বলেই রাহুল সব প্লেট থেকে নিয়ে নিয়ে স্নেহার প্লেটে ঢালতে লাগলো,]

স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর মনে মনে ভাবতে লাগলো আরে বাপরে কোনো ঐদিনের মতো সব খাইয়ে ছাড়বে নাকি!

রাহুল : কি হলো স্নেহা খাও! [ with tedi smile ]

স্নেহা খুব অসহায় চোখে রাহুলের দিক তাকালো!

হঠাৎ, রাহুল আর তার মা হেসে উঠে! স্নেহা অবাক হয়ে যায়!

মা : [ রাহুলের কান ধরে ] শয়তান! ওকে এতো ডিষ্টার্ব করছিস কেনো?..

রাহুল : আহ! মা ওকে সরি সরি!

[ স্নেহা হেসে উঠে ]

মা : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] তোমরা রেষ্ট করো! অনেক টায়ার্ড হয়ে আছো নিশ্চয়!

স্নেহা হাত ধুয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়! রাহুল ও দাঁড়িয়ে গিয়ে স্নেহার হাত ধরে নিয়ে একটি রুমে গেলো!

স্নেহা : এটা আপনার রুম! রাইট?..

রাহুল : [ হেসে ] কেমনি বুঝলে?..

স্নেহা : [ গিটারের দিক আংগুল দেখিয়ে ] এটা দেখে!

রাহুল : ইন্টেলিজেন্ট! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে নিয়ে সোফায় বসে পড়লো.. এবং রিমোট প্রেস্ করে টিভি অন করে ]

স্নেহা রাহুল থেকে একটু সরে বসে… তা দেখে রাহুল একটু হাসে,

রাহুল : আচ্ছা কি দেখবা স্নেহা?..

স্নেহা : আপনি যা দেখেন!

রাহুল : শিয়র তো ?..

স্নেহা : হ্যা! শিয়র!

রাহুল : ওকেই! তাহলে হরোর মুভি দেখি কি বলো ভয় পাও নাকি?..

স্নেহা : হ..হর হরোর মুভি! কই নাতো ভয় কেনো পাবো!

রাহুল : তাহলে ডান! [ বলেই একটা হরোর মুভি চালু করে দিলো ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] কি আজিব মানুষ! ভয় বলতে কিছু নেই নাকি! হরোর মুভি দেখছে! কন্ট্রোল স্নেহা কন্ট্রোল! সবই তো অভিনয়! তাই না…So কন্ট্রোল! এতো বড় হয়ে ভয় পায় বললে মানসম্মান সব ধুলোই মিশে যাবে!

কিছুক্ষণ পর রাহুল খেয়াল করলো, স্নেহা ধীরে ধীরে রাহুলের এতোটা কাছে চলে এসেছে স্নেহা নিজেও জানে না…

রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়েই আছে…এবং স্নেহার সাথে কাটানো মোমেন্ট গুলো মনে করছে আর ব্লাশিং হচ্ছে!

হঠাৎ, স্নেহা রাহুলের হাত শক্ত করে চেপে ধরে!

রাহুল : ইউ ওকে স্নেহা!

স্নেহা : [ তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে ] ইয়েস্ ইয়েস্ আই এম ওকে! আমি ভয় পায় নাকি! আমি ভয় পায় না…

রাহুল : গ্রেট! [ বলেই টিভির ভলিউম আরো বাড়াতে লাগলো ]

স্নেহা ভয়ে চোখ বন্ধ করে কানে হাত চেপে আছে! রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার ভীতু চেহেরার দিক চেয়ে আছে! এবং ধীরে ধীরে স্নেহার মাথা তার বুকের কাছে টেনে নেই! স্নেহা ও বাধা দিলো না…রাহুলের বুকে মাথা রেখে চুপটি করে আছে!

সন্ধ্যে ৬ টা,

স্নেহা চোখ খুলে তাড়াতাড়ি মাথা তুলে বসে, এবং দেখে রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে,

স্নেহা : আ..আপনি?..মানে আমি?..এইখানে এইভাবে…ঘুমিয়েছি?..

রাহুল : ইয়েস্!

স্নেহা : সরি! আসলে আমি!

রাহুল : [ স্নেহার মুখে আংগুল দিয়ে কিছু বলতে দেই না ] শিসস! আমি কিছু বলেছি?..

স্নেহা : [ একটু সরে বসে ] জি! আপ..আপনার মা…

রাহুল : মা এসেছিলো! তুমি ঘুম ছিলে তাই! ডিষ্টার্ব করেনি!

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] কিহহ! আপনার মা এসে… উফফ! মানে আমাকে এইভাবে দেখেছে?..আপনি আমাকে ডেকে দিলে পারতেন! ডাকেননি কেনো?…

রাহুল : ঘুমের মধ্যে পুরো স্লিপিং বিউটি লাগছিলে! কিভাবে ডাকি বলোতো?…

স্নেহা : আপনি চেয়েছিলেন?..

রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ] ঐদিকে ওয়াসরুম আছে! একটু ফ্রেশ হয়ে আসো ভালো লাগবে! [ বলেই রাহুল রুম থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে ]

স্নেহা : [ রাহুলের হাত ধরে ] আপনি কোথায় যাচ্ছেন?..

রাহুল : কোথাও না এইদিকেই আছি!

স্নেহা : না মানে.. আপনি এইদিকে দাঁড়ান! আমি ২মিনিটে মুখ ধুয়ে আসছি!

রাহুল : [ কিটকিটিয়ে হেসে ] কেউ একজন বলেছিলো! সে হরোর মুভি ভয় পায় নাকি? [ বলেই হেসে উঠে ]

[ স্নেহা মাথা নিচু করে ফেলে ]

রাহুল : [ স্নেহাকে টেনে তুলে ] ভয় পাওয়ার কিছু নেই! আমি এইখানেই আছি! তুমি যাও!

স্নেহা মনে মনে ব্লাশিং হয়ে মুখ ধুয়ে এলো!

রাহুল : চলেন মেম!

স্নেহা : জি! আমি এখন বাসায় যাবো! অনেক লেইট হয়ে গেছে!

রাহুল : হুম! [ বলেই স্নেহার হাত ধরে নিয়ে ড্রইং রুমে এগিয়ে আসে ]

মা : আরে স্নেহা! ঘুম কেমন হলো?..

স্নেহা লজ্জা পাচ্ছিলো তাও মাথা নাড়িয়ে ভালো বললো!

মা : তোমরা বসো আমি নাশতা দিচ্ছি!

স্নেহা : না না…দুপুরে এতোগুলো খেয়েছি! আমার পেট এখনো ভর্তি! অন্য একদিন করবো!

রাহুলের মা : আরে কি বলছো কি?..

স্নেহা : আসলে আমার ফ্রেন্ডসরা টেনশন করবে! আমি প্রমিস্ করছি অন্য একদিন খাবো! প্লিজ!

মা : আচ্ছা ঠিকাছে!

রাহুল : [ মাকে ঝড়িয়ে ] ওকে মা আসি!

মা : ওকে! বাই! স্নেহা আবার এসো কিন্তু!

স্নেহা : জি! [ বলেই রাহুলের পিছে পিছে বেড়িয়ে গেলো ]

[ রাহুল গাড়ীর দরজা খুলে দিলে স্নেহা গিয়ে বসে… ]

শীতের সন্ধ্যা, অন্ধকার নেমে এসেছে চারদিক কুয়াশায় ভরা…জানালা দিয়ে হালকা ঠান্ডা মৃদু বাতাস বইছে!
হঠাৎ রাহুল জানালার গ্লাস গুলো তুলে দেই! স্নেহা অবাক হয়ে তাকায়,

রাহুল : বাতাস গুলো ভালো না স্নেহা! কুল ফেভার হতে পারে!

স্নেহা একটু হেসে আবার ফিরে গেলো,

হঠাৎ, গাড়ী অটোমেটিক্যালি থেমে যায়, রাহুল বার বার স্টার্ট দিতে থাকে,

স্নেহা : কি হয়েছে?..

রাহুল : কিছুনা! জাষ্ট স্টার্ট হচ্ছে না! [ বলেই আবার স্টার্ট দিলো এবং সাথে সাথে স্টার্ট হয়ে যায় ]

কিছুক্ষণ পর,

স্নেহা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] আরে রাহুল দেখেন! ঐ যে বরফওয়ালা আইসক্রীম

রাহুল : ইয়াক!

স্নেহা : আরে ইয়াক! মানে?..

রাহুল : ময়লা পানি দিয়ে বানায় এগুলো! খেলে পেট ব্যথা হবে! আর এখন উইন্টার সিজন আইসক্রিম খেলে সি্ক হয়ে যাবা!

স্নেহা : আরে নানা হবে না! [ রাহুল তাকালে স্নেহা মুখ গোমড়া করে ] ওকে! [বলেই জানালার দিক ফিরে গেলো ]

[ হঠাৎ দেখে রাহুল গাড়ী পেছনে ব্যাক দিয়ে আইসক্রিম ভ্যানের দিক এগিয়ে নিয়ে সাইড করে রাখলো]

[ রাহুল গাড়ী থেকে নেমে স্নেহাকে ও হাত ধরে নামালো স্নেহা রাহুল থেকে হাত ছুটিয়ে নেই! এবং রাহুল তাকালে,]

স্নেহা : আমি হাটতে জানি! বাচ্চা না!

রাহুল : ওহ ইয়াহ! আই সি্ [ বলেই স্নেহার হাতটা আবার শক্ত করে ধরে নেই ]

স্নেহা : আরে! বললাম তো!

রাহুল : Shut-up স্নেহা! আসল কথাটাই বলোনা যে আমি তোমার হাত ধরে আছি তা দেখে আশেপাশের সবাই কি বলবে তাই তো!

[ স্নেহা তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে অন্যদিক ফিরে গেলো, Rahul give a tedi smile ]

রাহুল : [ স্নেহাকে টেনে আইসক্রিম ভ্যানের সামনে এনে ] কোন ফ্লেভারটা খাবা?…

[ স্নেহা হা করে চেয়েই আছে ]

রাহুল : [ হাত দিয়ে স্নেহার মুখ বন্ধ করে দিয়ে ] কিছু জিজ্ঞেস করছি স্নেহা! [ with tedi smile ]

স্নেহা : [ একটু লজ্জা পেয়ে ] উমম!.. ম্যাঙ্গো!

রাহুল : ওকেই! মামা দুইটা আইসক্রিম দাও ম্যাঙ্গো ফ্লেভারের!

স্নেহা : আ..আপনার ও কি ম্যাঙ্গো ফ্লেভার পছন্দ?..

রাহুল : উমম! ফিক্সড কোনো ফ্লেভার পছন্দ নেই! তবে তুমি ম্যাঙ্গো বলেছো তাই আমি ও বললাম!

[ স্নেহা একটু ব্লাশিং হয়ে অন্যদিক ফিরে গেলো ]

আইসক্রিম দিলে স্নেহা এক্সাইটেড হয়ে তাড়াতাড়ি নিয়ে খেতে লাগলো,

রাহুল হাতে নিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে রইলো, স্নেহা কিভাবে খাচ্ছে! বরফের রসগুলো দু-ঠোটে শক্ত করে চুষে নিচ্ছে! ঠোট গুলো লালছে হয়ে যাচ্ছে,

হঠাৎ,

স্নেহা : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] আরে আপনারটা তো গলে যাচ্ছে!

রাহুল : ওহ! [ বলেই খেতে নিলো অমনি আইসক্রিম ভেংগে মাটিতে পড়ে গেলো ]

স্নেহা : [ হাসতে হাসতে ] আরে! ঐভাবে না! এইভাবে [ বলেই আবার চুষে দেখালো স্নেহা! তারপর তার নিজের আইসক্রিমটি রাহুলের মুখের কাছে এনে দেই, ]

রাহুল : এপাশ না ওপাশ থেকে খাওয়াও! [ with tedi smile ]

স্নেহা : মানে?…

রাহুল স্নেহার হাত ধরে আরো কাছে এনে যেপাশ থেকে স্নেহা চুষে নিলো ওপাশ থেকে সেও চুষে নেই! স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে আর রাহুল তেডি স্মাইল দিতে লাগলো! স্নেহা কিছুনা বলে আইসক্রিমের গ্লাসটা ভ্যানের উপর রেখে গাড়ীর দিক এগিয়ে যাচ্ছে,

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] আরে স্নেহা ফিনিশ করো!

স্নেহা : [ ফিরে তাকিয়ে ] আহ! গলা ব্যাথা করছে!

রাহুল ও আর কিছু না বলে আইসক্রিমের টাকা দিয়ে গাড়ীর দিক এগিয়ে আসলো, দুজন চুপচাপ গাড়ীতে বসে পড়লো! কেউ কারো সাথে কথা বলছে না! গাড়ী চলছে!

হঠাৎ অর্ধেকে গিয়ে গাড়ী আবার অটোমেটিক্যালি থেমে যায়! রাহুল বার বার স্টার্ট দিতে লাগলো!

স্নেহা : কি হলো?..

রাহুল : মনে হয়! ঠান্ডায় ইঞ্জিন বসে যাচ্ছে! একটু ওয়েট করো! আমি দেখছি! [ রাহুল নেমে চেক করে আবার ভেতরে এসে বসলো এবং স্টার্ট দিতেই সাথে সাথে স্টার্ট হয়ে যায়! ]

ওভার ব্রিজ ক্রস করে কিছুদূর যাওয়ার পর,

রাহুল : [ গাড়ী থামিয়ে ] Oh shit! Damn it!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আবার কি হলো?

রাহুল : টায়ার পাম্পচার!

স্নেহা : এখন কি হবে?…

রাহুল জানালার গ্লাস খুলে আশেপাশে দেখছে…চারদিক নিরিবিলি কোনো দোকানপাট ও নেই!

রাহুল : এমন জায়গায় এসে পাম্পচার হলো আশেপাশে কোনো ম্যাকানিকের দোকান ও পাওয়া যাবে না!

স্নেহা : তাহলে?…

রাহুল : তাহলে আর কি?..আমাকেই ম্যাকানিক হতে হবে!

স্নেহা : ওহ!

রাহুল : এক্সট্রা টায়ার আছে আমি চেঞ্জ করে নিচ্ছি তুমি গাড়ীতেই বসো! [ দরজা খুলে বেড়িয়ে ] শুনো?

স্নেহা : হুম?..

রাহুল : গাড়ী থেকে বের হবা না বুঝলে! আমি ঐদিকটাই আছি!

স্নেহা : [ মাথা নাড়িয়ে ] ওকে!

[ রাহুল দরজা বন্ধ করে দিয়ে গাড়ীর ব্যাকবক্স থেকে আরেকটি টায়ার নিয়ে..পাম্পচার হয়ে যাওয়া টায়ারটি বদলাতে লাগলো ]

স্নেহা ভেতরে বসে আছে একা,হঠাৎ সে রাহুল কি করছে দেখার তার সি্ট থেকে উঠে পার হয়ে ড্রাইভিং সি্টে গিয়ে বসলো, এবং জানালার গ্লাসে উকি দিয়ে দেখতে লাগলো, রাহুল বসে অনেক ধ্যান দিয়ে টায়ার চেঞ্জ করছে!

স্নেহা রাহুলকে দেখে ব্লাশিং হতে লাগলো, এবং কিছুক্ষণ আগে আইসক্রিম ভ্যানের সামনে হয়ে যাওয়া মোমেন্টটা মনে পরতেই নিজে নিজে হেসে উঠে, একটু আওয়াজ হয়ে উঠলে স্নেহা তাড়াতাড়ি তার সি্টে গিয়ে বসে পড়ে, অনেক্ষণ পেড়িয়ে গেলো, রাহুল এখনো টায়ার চেঞ্জ করছে, গাড়ীর গ্লাস নামিয়ে মাথা বের করে তাকিয়ে দেখলো! চারদিক কুয়াশায় ভরে আছে…আশেপাশে কেউ নেই! মাঝে মাঝে একটা-দুটা গাড়ী শা -শা করে চলে যাচ্ছে! শীতের ঠান্ডা বাতাস বইছে! স্নেহা গাড়ীর দরজা খুলে নেমে পড়ে! রাহুলের দিক এগিয়ে যেতে হঠাৎ পেছন থেকে কারোর ধাক্ষা লাগলো,

স্নেহা ও সরি বললো লোকটি ও সরি বললো, রাহুল স্নেহার শব্দ শুনে উঠে দাঁড়ালো!

স্নেহা : [ মনে মনে ] এতোক্ষণ কাউকে দেখা যায় নি ইনি আবার কোথায় থেকে এলো, [ ভাবতে ভাবতে রাহুলের দিক এগিয়ে গেলো ]

রাহুল : কি করেছে লোকটা?..

স্নেহা : না নাহ! কিছু করেনি!

রাহুল : শিয়র?..

স্নেহা : হ্যা!

রাহুল : আচ্ছা তুমি বেড়িয়ে এলে কেনো? তোমাকে না নামতে নিষেধ করেছি!

[ স্নেহা হাসতে লাগলো ]

রাহুল : হাসছো কেনো?..

স্নেহা : [ হাসি চেপে ] আপনার মুখে আর কপালে কালি লেগে আছে [ বলেই আবার মুখ লুকিয়ে হাসতে লাগলো, ]

রাহুল : ওহ তাই অনেক হাসি পাচ্ছে না?.. [ বলেই স্নেহার ওড়নার আচল দিয়ে কপাল আর মুখের কালি গুলো মুছে নিলো ]

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরে!

রাহুল : এবার হাসো! [ বলেই আবার টায়ার চেঞ্জ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ]

স্নেহা : আর কতোক্ষণ লাগবে?…

রাহুল : [ টায়ার লাগাতে লাগাতে ] বেশিক্ষণ না! আচ্ছা শুনো তুমি গিয়ে ভেতরে বসে পড়ো বাইরে অনেক ঠান্ডা!

স্নেহা : হুম [ বলেই চলে গেলো ]

[ রাহুল টায়ার ঠিক করতে লাগলো হঠাৎ যে টায়ারটি পাম্পচার হলো সেটি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখে টায়ারটি কিছু দিয়ে ফুটো করে দেওয়া হয়েছে! মনেমনে, ভাবতে লাগলো সে তো গাড়ী নিয়ে এর মধ্যে দূরে কোথাও লং ড্রাইভে যায়নি তবে এটা ফুটো হলো কিভাবে! হয়তো উঁচুনিচু কোনো জায়গায় হয়েছে তা নিয়ে আর ধ্যান দিলো না…এবং মনে মনে এখন ঘটে যাওয়া স্নেহার ওড়না দিয়ে মুখ মুছে ফেলা মোমেন্টি মনে করে ব্লাশিং হতে লাগলো,

৫মিনিট পড়ে রাহুল উঠে দাঁড়ালো, এবং চেঁচিয়ে বলতে লাগলো অল ডান স্নেহা! বলেই সি্টের দিক তাকিয়ে দেখে সি্ট খালি! রাহুল আশেপাশে একবার তাকিয়ে আবার গাড়ীর দরজা খুলে চেক করলো স্নেহা! বলে…ব্যাগ আর মোবাইলটা পড়ে আছে কিন্তু স্নেহা গাড়ীতে নেই!

রাহুল শকড হয়ে গেলো! আজিব ব্যাপার স্নেহা কই গেলো?..

মুহূর্তেই তার মনে পড়ে গেলো তখন স্নেহা বেড়িয়ে আসায় তাকে আবার ভেতরে গিয়ে বসতে বলেছিলো! কিন্তু স্নেহা যে ভেতরে বসলো গাড়ীর দরজা বন্ধ বা খোলার কোনো শব্দই তো কানে আসলো না!

রাহুল দৌড়ে আশেপাশে স্নেহা বলে বলে চেঁচিয়ে উঠলো! চারদিক নিস্থব্দ কোনো মানুষ ও নেই যে জিজ্ঞেস করবে,হঠাৎ হঠাৎ একটা দু-টা গাড়ী চলে যাচ্ছে!

রাহুল আবার গাড়ীর দিক এগিয়ে আসে..মাথা চুলকাতে লাগলো, কি করবে কোথায় খুজবে স্নেহাকে! ভাবতে লাগলো, না বলে কই চলে গেলো স্নেহা! এসব মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে রাহুলের!

হঠাৎ,

রাহুল : [ মনে মনে ] স্নেহা গাড়ী থেকে নামার সময় কাউকে সরি বলছিলো! কোনো লোকটি… Oh shit! damn it!

রাহুল আবার দৌড়ে গিয়ে আশেপাশে চেক করতে লাগলো… কেউ আছে কিনা! রাগে চোখ গুলো লাল হয়ে যাচ্ছে রাহুলের! আর না পেরে এসে গাড়ীতে একটা লাত্তি মাড়লো!

রাহুল : [ আবার মনে মনে ] নেহা আজ আমার থেকে গাড়ী নিয়ে গিয়েছিলো! কোনো এসব নেহার প্লান তো নয়?..এই মেয়ের উপর কোনো বিশাস নেই! [ বলেই পকেট থেকে ফোন বের করে নেহাকে কল দিলো কিন্তু নেহা ফোন রিসিভই করছে না!… রাহুল এইবার হান্ড্রেট পার্সেন্ট শিয়র হয়ে গেলো সবকিছুতেই নেহারই হাত..তাড়াতাড়ি গাড়ী স্টার্ট দিয়ে রাহুল সোজা নেহার বাসায় গিয়ে উঠে ]

বেল দিতেই একজন মহিলা দরজা খুলে,

রাহুল : নেহা কোথায়?..

মহিলা : নেহা ম্যাডাম রুফ টপে আছে!

[ রাহুল কিছু না বলে দৌড়ে ভেতরে গিয়ে রুফ টপে উঠে ]

নেহা : [রাহুলকে দেখে দাঁড়িয়ে ] আরে রাহুল!

রাহুল : [ নেহার হাত চেপে ধরে ] কোনো ড্রামা করবি না চুপ চাপ! বল স্নেহা কোথায়!

নেহা : স্নে..স্নেহা! কোথায়…

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে চেঁচিয়ে ] I say no drama!?

নেহা : বাট রাহুল! আমি সত্যি জানিনা..

রাহুল রেগে ছাদে পড়ে থাকা টেবিল আর চেয়ার দুটো দুদিক দিয়ে লাত্তি মারে! এবং নেহার দিক আবার ফুফিয়ে আসে, নেহা ভয় পেয়ে যায়

রাহুল : Listen! লাস্ট বার বলছি স্নেহা কোথায় বল?…নাহলে আমি ভুলে যাবো তুই একজন মেয়ে এবং হাত তুলতে বাধ্য হবো!

নেহা : [ রাহুলের হাত ঝাড়ি দিয়ে সরিয়ে ] ঐ দুদিনের আসা গাইয়া মেয়ের জন্য তুই আমাকে এতোবড় কথা বলতে পারলি?..

রাহুল : দেখ নেহা! আমি আর ওয়ার্নিং দিবো না…Where is sneha?…

নেহা : I don’t know!

রাহুল : [ রাগান্বিতভাবে নেহার দিক এগিয়ে গিয়ে ] Again…

নেহা : হ্যা! হ্যা! আমিই ওকে কিডন্যাপ করিয়েছি! আমি করিয়েছি সব…[ রাহুলের কলার ধরে কাছে টেনে কাদো কন্ঠ ] বিকজ আই লাভ ইউ রাহুল!

রাহুল : [ নেহাকে ধাক্ষা দিয়ে সরিয়ে ] ইউ! ইডিয়ট! [ বলেই রাগে নিজের চুল নিজে টানতে লাগলো… আবার নেহার দিক ফুফিয়ে এগিয়ে আসে ] Listen! স্নেহা এখন কোথায়?

[নেহা চুপ করে আছে ]

রাহুল : [ নেহার হাত জোড়ে চেপে ধরে চেঁচিয়ে ] Damn it! I say where is sneha?

নেহা : ও চেঁচাচ্ছিলো বলে ওয়ার্নিং দিয়ে ঐদিকের একটা নিরিবিলি জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে এসেছি!

রাহুল : [ শকড হয়ে ] What?..are you mad ওকে একা?.. [ রাহুলের ইচ্ছে হচ্ছিলো নেহার গলা চেপে ধরতে কিন্তু তারহাতে নেহার গলা চাপার সময় নেই ]

তৎক্ষণাৎ রাহুল দৌড়ে বেড়িয়ে পড়ে,রাস্তার চারদিক খুজতে লাগলো রাহুল স্নেহাকে! ভাবতে লাগলো… একা কি অবস্থায় আছে এই অন্ধকার রাতে! নেহার উপর রাগ উঠতে লাগলো আর এইদিকে গাড়ীর স্পীড বাড়তে লাগলো,

খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ, গাড়ীর সামনে কেউ একজনকে দেখতেই রাহুল ব্রেক নিতে চাইলো… কিন্তু গাড়ীর স্পিড এতো বেশী ছিলো যে রাহুল কন্ট্রোল করতে পারলো না…পাশ কেটে নিতেই গাড়ীর সাথে বাড়ি খেয়ে পড়ে যায়, রাহুলের গাড়ী… হাইওয়ে থেকে সরে গাছের সাথে গিয়ে টপকালো! মাথায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হলো রাহুলের… তাও গাড়ী থেকে নেমে দাঁড়ালো! হঠাৎ চোখ থেকে বেয়ে পানি ঝড়লো!

দৌড়ে গিয়ে রক্তাক্ত স্নেহাকে ঝরিয়ে ধরলো!

রাহুল : [ কাদো কণ্ঠে ] স্নেহা! আই এম সরি! স্নেহা! আমি কন্ট্রোল করতে পারিনি! হে..এই স্নেহা প্লিজ ডোন্ট ক্লোজ ইউর আইস্ প্লিজ! [ বলতেই রাহুলের চোখ থেকে ঝড়ঝড় করে পানি ছুটছে ]

স্নেহা তার রক্তাক্ত হাতে রাহুলের কপাল ছুয়ে দেখলো! রাহুলের কপালের দিক থেকে রক্ত ঝড়ছে!

স্নেহার মাথা হাতে তুলে নিতেই রাহুল খেয়াল করলো পেছনের চুল গুলো রক্তে ভিজে গেছে! রাহুল স্নেহার মুখ কাছে টেনে কপালে একটা চুমু খেলো!

রাহুল : স্নেহা! আই লাভ ইউ!

স্নেহার দুচোখ থেকে দু-দিক গড়িয়ে পানি পড়লো! এবং সাথে সাথে স্নেহা তার চোখ বন্ধ করে ফেললো!

রাহুল : [ কান্নাসূরে ] হেই স্নেহা! চোখ বন্ধ করছো কেনো?.. কিছু হবে না তোমার ডোন্ট ওয়ারি! [ বলেই স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো এবং গাড়ীতে নিয়ে বসালো… রাহুলের মাথা প্রচণ্ডভাবে ভার হয়ে আছে… ড্রাইভ করার মতো শক্তিটাও হারিয়ে যাচ্ছে… কিন্তু স্নেহাকে হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে সেটা মনে করে নিজেকে শক্ত করে নিলো এবং ড্রাইভ করতে লাগলো ]

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে